নিউজ ডেস্ক : বিএনপির ডাকা হরতালে যেন কোনো ধরনের নাশকতা না হয় এ জন্য মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ। ভোলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, হরতাল চলাকালে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রহিমের হত্যার বিচারের দাবিতে জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নুরে আলমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভ করেন দলের নেতা-কর্মীরা। পরে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে হরতালের ঘোষণা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ট্রুম্যান।
এর জেরে জেলা শহরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দোকানপাট ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ দেখা গেছে। শহরের মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল করছে। লঞ্চ ও ফেরি চলাচল রয়েছে স্বাভাবিক।
এরই মধ্যে সকাল ৮টার দিকে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ভোলায় চলছে বিএনপির হরতাল, সতর্ক পুলিশ ভোলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির ডাকা হরতালে যেন কোনো ধরনের নাশকতা না হয়, এ জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্য বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়োজিত রয়েছে। হরতাল চলাকালে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
‘এ ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন রয়েছেন। ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে বলা হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।’
ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ গোলাম নবী আলমগীর বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রহিমের হত্যার বিচারের দাবিতে আমরা হরতালের ডাক দিয়েছি। সকাল থেকে জেলা শহরকেন্দ্রিক আমাদের শান্তিপূর্ণ হরতাল চলছে।
‘আমাদের নেতা-কর্মীদের বলা হয়েছে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা ছাড়া শান্তিপূর্ণ হরতাল পালনে দিকনির্দেশনা দেয়া আছে।’
ভোলায় চলছে বিএনপির হরতাল, সতর্ক পুলিশ এ সময় তিনি আরও বলেন, বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরা সভাপতি নুরে আলম ও কর্মী রহিমের বাড়িতে সমবেদনা জানাতে যাবেন।
সারা দেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে গত ৩১ জুলাই রোববার ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় সেদিনই স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আবদুর রহিম নিহত হন।
পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন দিন ধরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যু হয় জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: