ডেস্ক রিপোর্টার: জার্মান ক্লাব আইনত্রাক্ট ফ্রাঙ্কফুর্ট ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠেছে । সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্ট হ্যামকে ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা। দুই লেগ মিলিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্টের জয় ৩-১ গোলে। আরেক ম্যাচে, লাইপজিগকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপার মঞ্চে পা রেখেছে রেঞ্জার্স।
১৯৮০ সালের পর ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠেছে আইন্ত্রাকট ফ্রাঙ্কফুর্ট। এমন অর্জনে কি আর পিঞ্জরে আটকে থাকা যায়। ফ্রাঙ্কফুর্ট সমর্থকরাও ভুলে গেলেন নিয়েমের বেড়াজাল। মাঠে নেমেই মেতে ওঠেন জয়ের উল্লাসে। সে উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে মাঠ থেকে মাঠের বাইরেও।
এবারের ইউরোপা লিগে শুরু থেকেই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে আইন্ত্রাকট ফ্রাঙ্কফুর্ট। শীর্ষ ষোলোতে রিয়াল বেতিসের পর কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের দাপটের কাছে চুরমার হয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। সব হারা কাতালান ক্লাবটিকে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলে ইউরোপার আশা শেষ করে দেয় জার্মান ক্লাবটি। সেমির মঞ্চেও প্রথম পর্বে অপ্রতিরোধ্য ছিল আইন্ত্রাকট।
প্রথম লেগে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ের পর ফিরতি লেগেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখার লক্ষ্য ছিল তাদের। ম্যাচের শুরু থেকেও ছিল তাদের আধিপত্য। ১৯ মিনিটে ক্রেসওয়েল লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ওয়েস্ট হ্যাম। ম্যাচের ২৬ মিনিটেই গোল করেন রাফায়েল বোরে। পিছিয়ে পড়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি হ্যামাররা। ক্যারিয়ারে কখোনোই কোনো মেজর শিরোপা জিততে না পারা ডেভিড ময়েস আরও একটি হতাশা নিয়েই বিদায় নিলেন সেমির মঞ্চ থেকে। আর দারুণ জয়ে ফাইনালে পা রাখে ফ্রাঙ্কফুর্ট।
আরেক ম্যাচে স্কটিশ ক্লাব রেঞ্জার্সের মুখোমুখি হয় জার্মান ক্লাব লাইপজিগ। প্রথম পর্বে লাইজিগের কাছে ১-০ গোলের হারে জয়ের ক্ষুধায় মরিয়া ছিল রেঞ্জার্স। চাওয়া আর পাওয়া এক হয়েছে দ্বিতীয় লেগে। ১৮ মিনিটেই ট্যাভার্নিয়ারের গোলে লিড পায় রেঞ্জার্স। ২৪ মিনিটে ব্যবধান ২-০ তে নিয়ে যান কামারা।
৭০ মিনিটে এনকুকুর গোল আশা জাগিয়েছিল লাইপজিগকে। তবে, ৮০ মিনিটে লুন্ডস্ট্রাম গোল করে সে স্বপ্ন বালির বাধের মত গুঁড়িয়ে দেন। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে রেঞ্জার্স। ১৮ মে সেভিয়ার মাঠ স্তাদে র্যামন সানচেজে ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ফ্রাঙ্কফুর্ট।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: