
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ১০ টাকায় আটি কাঁচা গমের গাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অসহায় কৃষকেরা।
এ উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে গম উৎপাদনে চাষাবাদ, সার, কীটনাশক, সেচ খরচ ও গম বীজ দিয়ে সর্বোচ্চ খরচ হবে সাত হাজার টাকা। গম পাকার পর কেটে সেই জমির গম বাজারে বিক্রির ঝামেলা ও দাম নিয়ে শঙ্কা থাকায় কাঁচা গম বিক্রি করে দিচ্ছেন। অন্যদিকে এমনিতেই বিঘা প্রতি পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। তবে এভাবে কাচা গম কেটে বিক্রির ফলে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, নিমিষেই বিক্রি হচ্ছে এসব কাঁচা গমের আটি। চাষিদের পাশাপাশি পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতাও দেখা গেছে কাঁচা গমের গাছ বিক্রি করতে। বালিয়াডাঙ্গী বাজারের মেইন রোডের মাছ বাজার এলাকার একটি নছিমনে ১০০ আঁটি কাঁচা গমের গাছ বিক্রি করতে নিয়ে আসেন উপজেলার কুশলডাঙ্গী গ্রামের নওশাদ আলী।
তিনি বলেন, নেকমরদ এলাকার এক গম চাষির দুই বিঘা কাঁচা গমের খেত তিনি কিনেছেন ২৬ হাজার টাকা দিয়ে। এক টাকা দরে প্রতি আঁটি মজুরি দিয়ে প্রতিদিন শ্রমিকদের কাছে প্রতিদিন এক হাজার আঁটি কেটে বাজারে বিক্রি করেন তিনি। দুই বিঘা জমিতে চার হাজার ২০০ আঁটি হবে। যার বাজার মূল্য ৪২ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, ‘কাঁচা গম কেটে বিক্রির বিষয়টি নজরে আসেনি। তবে এটি কৃষকেরা কেন করছেন আমার জানা নেই। কাঁচা গমের গাছ বিক্রি করলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাঘাত হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / গৌতম চন্দ্র বর্মন/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: