শেরপুর প্রতিনিধি : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন,‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া প্রত্যেকটি হত্যার বিচার হবে, প্রত্যেকটি গুলির বিচার হবে এবং এটা আন্তর্জাতিক মানদন্ডে বিচার হবে। আপনারা দেখেছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ঢাকায় মামলা হয়েছে।
বিদেশের আদালতেও আন্তর্জাতিক কোর্ট, সেখানেও কিন্তু তার মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এসব হত্যাকারী কাউকে আর কখনো ছাড়া হবে না। শুধু শেখ হাসিনা নয়, তার যে দোসর, যারা নির্দেশ দিয়েছে, শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছে তাদেরকেও এ বিচারের আওতায় আনা হবে।’
শুক্রবার দুপুরে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ঝরাকুড়া গ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সারদুল আশিস সৌরভের কবর জিয়ারতের পর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী, ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক (ভারপ্রাপ্ত) আলহাজ্ব শাহজাহান আকন্দ, যুগ্ন আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নানসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত করছি, তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করছি। এখানে যেতে যেতে আমরা ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। আমাদের মানসিক অবস্থা ভালো না, এতো লাশ, এতো আহাজারি এটা আমাদের মনকে আসলে অন্যরকম করে দিয়েছে। তাদেরকে সমবেদনা জানানোর ভাষা আমাদের নাই।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহদের স্মৃতি ধরে রাখতে ও তাদের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সর্বশক্তি দিয়ে আমরা তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব এবং ইনশাল্লাহ আমরা যদি জনগণের সমর্থনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারি, তাহলে এসব শহিদদের স্মৃতির রক্ষার জন্যে প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে স্মৃতিস্তম্ভ হবে, একটি করে রাস্তা বা সরকারী স্থাপনার নামকরণ করা হবে। তাদের পরিবারের মধ্য থেকে একজন যোগ্য ব্যক্তিকে একটা চাকরির বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি এসব হত্যাকান্ডের যেন বিচার হয়, সেজন্য এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছি। আমাদের যে লিগেল এইড কমিটি গুলো রয়েছে, জেলা আইনজীবি ফরাম রয়েছে, আমাদের জেলা নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিহত পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে মামলাগুলো যেন সুন্দর ও সচ্ছভাবে তৈরী করার জন্য।’
এর আগে ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাইকুড়া বাজারে এক পথসভায় বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী।
এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের শালচ‚ড়া গ্রামের শাহাদাত হোসেন ও আশরাফুল ইসলামের কবর জিয়ারত শেষে পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহীর এ যুগ্ন মহাসচিব।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: