মো. জাহিদুল হক মনির, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের যোগিনীমুরা কান্দাপাড়া গ্রামে দাফনের প্রায় আড়াই মাস পর কবর থেকে মো. লিটন মিয়া (৩০) নামের এক ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে।
নিহত লিটনের বড় ভাই হেলালের ছেলে আবির ইসলামের দায়ের করা হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বেলা দুপুরে পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দিন বিশ্বাসের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়। তিনি সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগিনীমুরা কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত হাসেন আলী মন্ডলের ছেলে।
নিহত লিটন মিয়ার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২ অক্টোবর রাতে লিটন মিয়াকে ডেকে নিয়ে যান স্থানীয় শহিদুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা। পর দিন সকালে স্থানীয় মসজিদের সামনে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তখন ঘটনাটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু মনে হওয়ায় নিহতের পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়াই কবর দেয় তাকে।
পরবর্তীতে পুলিশি তদন্তে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের কারণে হিটলারকে হত্যা করেন শহিদুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা। এরপর আদালতে অভিযুক্ত শহিদুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত লিটনের ভাতিজা আবির ইসলাম। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত লিটনের মরদেহ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল রিপোর্ট করার নির্দেশ দেন।
নিহত লিটনের স্ত্রী তাছলিমা বেগম বলেন, তার স্বামীকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা করতে দেয়নি। তিনি তার স্বামী হত্যার বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লিটন মিয়ার লাশ উত্তোলন ও সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাটানো হয়েছে।রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: