
মমিনুল হক রুবেল, নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।আজ শনিবার সকালে নবীনগর থানা গেইটের সামনে এই ঘটনা ঘটে।এই ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছেন।স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম সন্ধায় ডাকবাংলোতে বিষয় টি সমাধান করেন।
আহত হয়েছেন, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক হিমেইল পিয়াস রনি,কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী রোম্মান,ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শনিবার সকালে জরাজীর্ণ অবকাঠামো দেখতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম নবীনগর থানায় যান।পরিদর্শন শেষে সকাল ১০ টার দিকে থানা থেকে রওয়ানা হন।ঐ সময় ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিন থানায় প্রবেশ করেন।উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু সাঈদ ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিন কে থানা চত্বর থেকে থাক্কা দিয়ে বের করে দিতে চান।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু সাঈদ ও পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক হিমেইল পিয়াস রনির দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক হিমেইল পিয়াস রনি বলেন,সামন্য একটি বিষয় নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু সাঈদ ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিন কে থানা গেইটের ভিতর থেকে থাক্কা দিয়ে বের করে দিতে চান।কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী রোম্মান আল আমিন কে বাঁচাইতে গেলে তাকে মারধর করে।রোম্মান কে মারধর করতে দেখে আমরা থামাতে গেলে তারা আমাদেরসহ মারধর করে।এ নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে আমরা ৪ জন আহত হয়েছি।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু সাঈদ বলেন,শক্রবার পৌর এলাকার মাজারে আমাকে নিয়ে আল আমিন মন্তব্য করেন। সকালে থানার গেইটে থাকে পেয়ে বাইরে আসতে বলি।থানা গেইটের বাইরে আসার পর রনি ছাত্র লীগের এক কর্মী কে ধাক্কা দেন। এ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলেন,জরাজীর্ণ অবকাঠামো দেখতে সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল এসেছিলেন।পরিদর্শন শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় থানার চত্বরের ভিতরে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু সাঈদ ও আরেক পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় পুলিশ এগিয়ে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: