আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ মস্কো থেকে জ্বালানি না কিনলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে সহজেই তেল-গ্যাস বিক্রির কথা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউরোপের জ্বালানি সংকটের জন্য তাদের রুশবিরোধী মনোভাবকেই দায়ী করেন পুতিন। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার জন্য নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাশিয়ার মেরু অঞ্চলের উন্নয়নের ব্যাপারে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বক্তব্য রাখেন পুতিন। এ সময় মস্কোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতিবাচক মনোভাবের সমালোচনা করে পুতিন বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা করছে না এই দেশগুলো। এর ফলে জ্বালানি সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কোটি কোটি ইউরোপীয়।
এ পরিস্থিতিতে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস না কিনলে বিকল্প বাজারে নিজেদের জ্বালানি বিক্রির কথা জানিয়েছেন পুতিন। তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার তেল ও গ্যাস না কিনলে জ্বালানি ঘাটতিতে থাকা বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে তেল ও গ্যাস বিক্রি করবে মস্কো।
অদূর ভবিষ্যতে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বাজারেই তেল ও গ্যাসের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে উল্লেখ করেন পুতিন। পশ্চিমা অবরোধের কারণে সেসব দেশ থেকে অনেক পণ্য ও যন্ত্রাংশ আমদানি করতে পারছে না মস্কো। পাশাপাশি ইউরোপে কাঁচামাল রফতানিতেও বাধার সম্মুখীন হচ্ছে দেশটি। এ পরিস্থিতিতে নিজেদের কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাত করে পণ্য উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে রাশিয়া। ফলে দেশটিতে বৃদ্ধি পাবে তেল ও গ্যাসের ব্যবহার।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর মস্কোর জ্বালানি খাতের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া। তবে রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কারণ জ্বালানির জন্য রাশিয়ার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ইউরোপ। ইউরোপের গ্যাস সরবরাহের ৪০ শতাংশ, তেলের ২৫ শতাংশ ও কয়লার ৫০ শতাংশ রাশিয়া থেকে আমদানির ওপর নির্ভরশীল।
এ পরিস্থিতি সত্ত্বেও মস্কোর ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে ব্যাপক তোড়জোড় চলছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে। বুধবারের বক্তব্যে মূলত এই বিষয়টিরই সমালোচনা করেন পুতিন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: