• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

রামুর কৃষকরা লাভবান বরই চাষে


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০১:০৪ পিএম
রামুর কৃষকরা লাভবান
বরই চাষ

জাফর আলম, কক্সবাজার : রামুর বরই শুধু কক্সবাজার জেলাতে নয়, গোটা দেশ ব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে। এসব বরই খেতে এতই যে স্বাদ পাওয়া যায়, তা ভোক্তাদের মন কেড়েছে। সুস্বাধু এই বরই কিনতে বিভিন্ন জেলা থেকে বেপারীরা এসে ভিড় করে ঈদগড়ে। জানা যায়, রামুর ঈদগড়ে রাস্তার দুইপাশে শুধু বরইর বাগান। প্রতিদিন হাজার হাজার কেজি বরই তুলা হচ্ছে ওইসব বাগান থেকে। গাছে ভরপুর বড় সাইজের বরই। রামুর ঈদগড়ের কৃষকরা বিষাক্ত তামাক চাষ বাদ দিয়ে কৃষি জমি ও পাহাড়ের ঢালুতে চাষ করছে বিভিন্ন প্রজাতির কুল।

ইতোমধ্যে ঈদগড়ে উৎপাদিত মিষ্টি কুলের সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে পুরো দেশজুড়ে। অল্প ব্যয়ে কুল চাষ করে অর্থ নৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা। সচেতন মহল বলছেন, বরই চাষ করতে তামাক চাষের মতো ঋণ নিতে হচ্ছেনা কৃষকদের। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ দিলে কুল চাষে উদ্বুদ্ধ হবে তারা। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান। অন্যরা স্বাবলম্বি হচ্ছে দেখাদেখিতে যুবকরা অবৈধ কারবারে ঝুঁকে পড়বেনা। মনযোগ দেবে বরই চাষাবাদে। যেসব কৃষক আগে তামাক চাষ করতেন, তারা এখন অল্প পুঁজিতে লাভবান হচ্ছে দেখে বরই চাষে ঝুঁকে পড়েছে।

রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের তরুণ উদ্যোক্তা রহিম উল্লাহ জানান, এখানকার ওই জায়গাগুলো ছিল প্রায় পরিত্যক্ত। অনেকেই তামাক চাষ করতেন। অন্যান্য বাগানের তুলনায় কুল চাষে লাভ বেশি দেখা যাচ্ছ্। একাধিক কৃষকের বাগানে কুলগুলো সাইজে বড় হওয়ায় মাত্র কয়েক পিসে কেজি হয়ে যায়। লাভবানও হচ্ছেন তারা। তাই উদ্বুদ্ধ হয়ে কৃষকরা এখন ৪শ একরের অধিক জায়গায় কুলের বাগান করেছে। রামুর পার্শ্ববতী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সাংবাদিক আবদুর রশিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা- দেশে এক ইঞ্চি জায়গাও অনাবাদি থাকবেনা। সেটার উপর ভিত্তি করে সকলের উচিৎ কুল চাষে আগ্রহী হওয়া। কৃষি অধিদফতর সহযোগিতা করলে কুল চাষে আগ্রহী হয়ে বেকার যুবকরা স্বাবলম্বি হতে পারে।

কক্সবাজার কৃষি সম্প্রচারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো: কবির হোসেন কুল চাষের বিষয়ে বলেন, অনেক নতুন শিক্ষিত যুবক উদ্যোক্তা কুল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এর জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর প্রশিক্ষণসহ নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারা যাতে উন্নত কুল চাষ সম্পর্কে আরও ভালভাবে জানতে পারে। জানা যায়, কক্সবাজার জেলার মধ্যে চলতি মৌসুমে প্রায় ৪শ একর জমিতে হয়েছে কুল চাষ।

প্রতিদিন এক একটি বাগান থেকে তোলা হচ্ছে ৬শ থেকে ৭শ কেজি কুল। তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩০টাকায় কেজি। বাগান থেকে তোলা কুল প্যাকেটজাত করে জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। অল্প সময়ে দ্বিগুণ লাভ দেখে কুল চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক। বেকারদের হচ্ছে কর্মসংস্থান।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image