
জহিরুল ইসলাম সানি:
প্রতিবছরের মত এবারো 'মিরপুর মুক্ত দিবস' উপলক্ষে এর ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরে কথামালা, গুণিজন সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) 'মিরপুর মুক্ত দিবস' উপলক্ষে বিকেলে মিরপুর-১২ নম্বর সেকশনের পল্লবী সিটি ক্লাব মাঠে 'মিরপুর মুক্তির উৎসব ২০২৩' অনুষ্ঠানের আয়োজন করে 'মিরপুর সাংস্কৃতিক ঐক্য ফোরাম'। এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন 'সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট' এর সভাপতি লেখক-গবেষক গোলাম কুদ্দুছ।
এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন , আজ ৩১ জানুয়ারি 'মিরপুর মুক্ত দিবস '। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও অবরুদ্ধ থেকে যায় বাংলাদেশের শেষ রণাঙ্গন মিরপুর। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করার ৪৬ দিন পর ১৯৭২ সালের ৩১শে জানুয়ারি আরেক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পরিপূর্ণ মুক্তি লাভ করে মিরপুর।
তিনি বলেন, মিরপুরবাসীর জন্য এই ইতিহাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য অনেকেই জানেন না লোমহর্ষক সেই রণক্ষেত্রের ইতিহাস। ইতিহাসের সেই জঘন্যতম গণহত্যার মধ্য দিয়ে সেই বিজয়ের সূচিত হয়েছিল। আর মুক্তিযুদ্ধের সেই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা -১৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্। 'মিরপুর মুক্ত দিবস' উপলক্ষে মাননীয় মেয়র মহোদয়ের হাত থেকে ২ জন গুনি ব্যক্তিকে (মরণোত্তর) সম্মাননা হিসেবে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও মিরপুর সাংস্কৃতিক ঐক্য ফোরাম`এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় এলাকাবাসী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
'মিরপুর মুক্তির উৎসব ২০২৩' গত ২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি ৪ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে ছিল - শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, এসো আঁখি আমার ইতিহাস, মিরপুর মুক্তির প্রথম প্রহর উদযাপন, গুণীজন সম্মাননা, আলোচনা সভা, সেমিনার, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, তথ্যবহুল প্রকাশনা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: