নিউজ ডেস্ক: দেশের অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি বিনষ্ট করতেই একশ্রেণির উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষকদের লাঞ্ছনা, হত্যা ও মুক্তমনা সাংস্কৃতিক কর্মীর ওপর চালাচ্ছে বলে মনে করে ৬৬ নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম- সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি।একই সঙ্গে এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এ প্রতিবাদ জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, শাসন করায় সাভারের ছাত্রের প্রহারে শিক্ষক উৎপল সরকারের মৃত্যু, নড়াইলে ধর্ম অবমাননার দোহাই দিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষক ও ছাত্রের গলায় জুতার মালা এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, গবেষক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী ও তাঁর স্ত্রীর ওপর হামলাসহ দেশে একের পর এক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এর আগেও ধর্ম অবমাননার দোহাই দিয়ে সিলেটের গোলাপগঞ্জের শিক্ষক সুনীল চন্দ্র দাশ, মুন্সীগঞ্জের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল, চট্টগ্রামের শিক্ষক তুষারকান্তি বড়ূয়া, নওগাঁ মহাদেবপুরের শিক্ষিকা আমোদিনী পালসহ আরও কয়েকজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষকের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা করা হয়। এসব ঘটনা আপাতদৃষ্টিতে বিচ্ছিন্ন প্রতীয়মান হলেও প্রতিটি ঘটনা মূলত সাম্প্রদায়িকতার একই সুতোয় বাঁধা।
এ অবস্থায় অবিলম্বে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: