নিউজ ডেস্ক: ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করেছে ভারত। গত দুই বছর ছিল লকডাউন। তাই ঘরে বসেই জৌলুসহীন ঈদ পালন করেছিলেন গোটা ভারতবাসী। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। সংক্রমণ কাটিয়ে ধর্মীয় প্রার্থনার পর খুশির আলিঙ্গনে পরস্পরের সঙ্গে আবদ্ধ হলেন হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলিম।
ঈদের নমাজ পড়তে মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জমায়েত হন লাখ লাখ মানুষ। তবে সকাল থেকেই খারাপ আবহাওয়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়ের বেশ কিছু এলাকায় ঈদের নামাজ পড়তে সমস্যার সম্মুখীন হন মুসল্লিরা।
জনজীবন আবার ফিরেছে স্বাভাবিক ছন্দে। তাই কলকাতার সবথেকে বড় ঈদের জামাত ফিরেছে রেড রোডে। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সকাল সাড়ে আটটার সময় নমাজ পড়া শুরু হয়। নমাজ পড়ান ইমাম কোয়ারি ফজলুর রহমান।
প্রায় দুই থেকে তিন লাখ মানুষ অংশ নেয় রেড রোডের নামাজে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি দেশে বিভাজনের রাজনীতি চলছে বলে অভিযোগ করেন।
নাম না নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে মমতা বলেন, বাংলার ঐক্য দেখে অনেকের হিংসা হয়। মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করব। মাথা নোয়াব না। ভয় পাবেন না, লড়াই করুন।
রেড রোডের পাশাপাশি কলকাতার পার্ক সার্কাসের নামাজেও ধরা ব্যাপক জনসমাগমের ছবি।
বৃষ্টিবিঘ্নিত সকালে স্থানীয় চেতলা মসজিদেই ঈদের নামাজ পড়েন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। কলকাতার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতেও নামাজ আদায় শেষে আনন্দ উদ্দীপনার সাথে পালিত হয়েছে ঈদের আয়োজন।
ভারতের অন্যতম বৃহৎ দুই মসজিদ— রাজধানী দিল্লির জামে মসজিদ ও লখনৌর রুমি দারওয়াজায় নামাজে অংশ নিয়েছে লাখো মানুষ। নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিল বিপুলসংখ্যক পুলিশ। আহমেদাবাদ জামে মসজিদ, থিরুভানানথাপুরমের পালায়াম জামে মসজিদ, পাঞ্জাবের অমৃতসরে খায়রুদ্দিন মসজিদ, মুম্বাইয়ের মহিম দরগাতেও ছিল ব্যাপক জনসমাগম।
মুসলিমদের এ ধর্মীয় উৎসবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে সীমান্তে মিষ্টি বিনিময় করেছে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: