
নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনের পর ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছেন এসব দেশের নাগরিকরা।
শুক্রবার সকালে সৌদি আরবের মসজিদুল হারাম ও মসজিদুল নববীতে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত। এবার দেশটিতে ২০ হাজার ৭১৪টি মসজিদে আয়োজন করা হয়েছে ঈদের জামাতের। আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে বাড়তি কর্মী মোতায়েন করে সৌদি সরকার। ঈদ উপলক্ষ্যে দেয়া বার্তায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা কামনা করেছেন সৌদি বাদশা সালমান।
সৌদি আরবের পাশাপাশি ঈদ উদযাপন চলছে কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, সংযুক্ত আব আমিরাতে। পশ্চিম তীরে ঈদের নামাজ আদায় করেন কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি। পুরুষদের পাশাপাশি অংশ নেন নারী ও শিশুরাও।
জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন কয়েক হাজার মুসল্লি। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ঈদের জামাত হয়েছে ইরাকে। মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে তুরস্ক, আফগানিস্তান, ইতালি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, স্পেনের মানুষ।
সকালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির লুকেম্বা মসজিদে হয় সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত। স্থান সংকুলান না হওয়ায় মসজিদের বাইরেও ঈদের নামাজ আদায় করেন কয়েক হাজার মুসল্লি।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় ওমান, ইরানে শনিবার উদযাপিত হবে ঈদ। অন্যান্য বার সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ইন্দোনেশিয়া-ফিলিপাইনে ঈদ হলেও, এবার তার ব্যতিক্রম।
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশে ঈদ উদযাপিত হবে শনিবার। এসব দেশে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। তবে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বেচাকেনা কম থাকায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারাও।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: