
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের অধিকারকর্মী ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই চারমাস আগে বলেছিলেন, আমি নিশ্চিত নই যে কখনো বিয়ে করব কি না।
মালালা বলেছিলেন, আমি এখনও বুঝতে পারছি না যে কেন মানুষকে বিয়ে করতে হবে।
আরও বলেছিলেন, আপনি যদি আপনার জীবনকে কারাগার বানাতে চান, তাহলে কেন বিয়ের কাগজপত্রে সই করতে হবে। কেন এটি একটি কেবল অংশীদারত্ব হতে পারে না? গত জুলাই মাসে ভোগ ম্যাগাজিনের দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২৩ বছর বয়সী মালালা এসব কথা বলেছিলেন।
মালালার মন্তব্যের চার মাস যেতে না যেতেই বিয়ের পিড়িতে বসলেন আলোচিত এই নোবেলজয়ী। ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তার বর আসার মালিক, লাহোর শহর থেকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফরম্যান্স বিভাগের একজন অপারেশন ম্যানেজার। ২০২০ সালের মে মাসে ওই পদে যোগ দিয়েছেন।
তিনি পাকিস্তানের লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস থেকে ২০১২ সালে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক অর্জন করেন। তিনি পাকিস্তান সুপার লিগের (পিসিএল) একটি দলেরও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার একটি খেলোয়াড় ব্যবস্থাপনা সংস্থাও রয়েছে।
নিজের টুইটারে বরের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে মালালা লিখেছেন, আজকের দিনটি আমার জীবনের একটি মহামূল্যবান দিন। আমি সারা জীবনের জন্য গাঁটছড়া বেঁধেছি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্বল্পপরিসরে বার্মিংহামের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। বাকি জীবন আমরা একসঙ্গে কাটাতে চাই।
নারী শিক্ষাবিরোধী তালেবান জঙ্গিদের এলাকায় বসে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার পক্ষে বিবিসি ব্লগে লেখালেখি করে তিনি পশ্চিমা বিশ্বের নজর কাড়েন। তখন তার বয়স মাত্র ১১। নারী শিক্ষার পক্ষে কথা বলায় তিনি প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত পান।
২০১২ সালের ৯ অক্টোবর সোয়াত উপত্যকার মিনগোরাত এলাকায় ১৪ বছর বয়সী মালালা ও তার দুই বান্ধবীকে স্কুলের সামনেই গুলি করে তালেবান জঙ্গিরা।
২০১৪ সালে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে মালালা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতির ওপর স্নাতক (গ্র্যাজুয়েট) ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: