নিউজ ডেস্ক
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। বিএনপি বিজয়ের অনুষ্ঠান করবে। সেদিন এলো আন্দোলন করে সরকার উৎখাত করবে। এতই সোজা! (এটা) আওয়ামী লীগ পারে।
তিনি নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন,চক্রান্ত করে ২০০১-এ আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। তার ভোগান্তি এ দেশের মানুষের হয়েছে। মানুষকে সজাগ থাকতে হবে।না হলে আবার সে ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
রবিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,আইয়ুব খানকে আমরা উৎখাত করেছি। ইয়াহিয়া খানকে যুদ্ধে পরাজিত করে উৎখাত করেছি। জিয়াকে পাই নাই হাতে।কিন্তু জিয়া যখনই যেখানে গেছে আন্দোলন তো তার বিরুদ্ধে হয়েছে। এরশাদকে উৎখাত করেছি। খালেদা জিয়া (১৯৯৬ সাল) ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট চুরি করে, তাকে উৎখাত করা হয়েছে। আবার ২০০৬-এ ভোট চুরি করেছিল। এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোট করতে চেয়েছিল, সেটাও বাতিল হয়েছে।
তিনি বলেন,কাজেই আওয়ামী লীগ পারে।বিএনপি,জামায়াত,গণতন্ত্র মঞ্চের যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির দিকে ইঙ্গিত করে এর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন,বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে এবং তাদের সঙ্গে আরও কিছু পার্টি দাঁড়ালো।আরেকটি জিনিস খুব অবাক লাগে।কোথায় বামপন্থি, আর কোথায় ডানপন্থি। যারা বামপন্থি তারা মনে হয় ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জামায়াত,বিএনপির সঙ্গে আমাদের বাম, অতি বাম, স্বল্প বাম, তীব্র বাম, কঠিন বাম সব যেন এক হয়ে এক প্ল্যাটফর্মে। ওই যে বলেছিল না ‘কি বিচিত্র এই দেশ সেলুকাস।’
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান– দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই দলে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে? এদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাদের সমর্থন করে কীভাবে? এটা ভাবলে আমার অবাক লাগে। এরা তো ইতিহাস জানে।
শেখ হাসিনা প্রশ্ন করেন, আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? আওয়ামী লীগ তো ক্ষমতায় বসে নিজে খাচ্ছে না। দেশের মানুষকে খাবার দিচ্ছে। গৃহহীনদের ঘর দেওয়া, রোগের চিকিৎসা করাসহ বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরেই দেশের মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছে সরকার জনগণের সেবক। সরকার ইচ্ছে করলেই মানুষের উন্নতি করতে পারে সেটা প্রমাণ করেছে বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসাটা খুব সহজ ছিল না। এত সহজে আসতে দেয়নি। জনগণ আমাদের সমর্থন করে। ভোট আমাদের আছে। কিন্তু নির্বাচনে বারবার কারচুপি করে হোক, ষড়যন্ত্র করে হোক, চক্রান্ত করে হোক আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মানুষের শক্তি বড় শক্তি। আর বিশ্বাস। মানুষের শক্তি নিয়েই আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসেছে।
২০৪১-এর স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে সে বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যে বাংলাদেশে প্রত্যেকটা মানুষ কম্পিউটার ব্যবহারে পারদর্শী হবে। আমাদের অর্থনীতি আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য। আমাদের সবকিছু আমরা ই-গর্ভন্যান্স, ই-বিজনেস সবকিছু আমরা এভাবে করবো। এমনকি স্বাস্থ্যসেবা থেকে শিক্ষা সবকিছুতেই আমরা গড়ে তুলবো। সেভাবে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোশারফ হোসেন, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ প্রমুখ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এম আর
আপনার মতামত লিখুন: