বিজয়কররতন, মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৬০/৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। কিশোরগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এস আই অনিক কুমার সাহা বাদী হয়ে সোমবার রাতে এ মামলাটি করেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে গ্রেফতারকৃত জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের সুমনকে।
অপর গ্রেফতার আসামী হলো জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রেজাউল করিম চুন্নুর গাড়িচালক সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম,আমিনুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুজ্জামান পার্ণেল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ, ফেরদৌস আহমেদ নেভিন সহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয় মামলায়। এর আগে সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জেলা বিএনপির উদ্যোগে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা চলাকালীন জেলা যুবদলের মিছিল আসলে তা পুলিশি বাধার মুখে পড়ে।এ সময় জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা পুলিশের সাথে উদ্যতপূর্ণ আচরণ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
এসময় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।এতে বিএনপির ১৪-১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান বিএনপি নেতারা।
এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ সহ পুলিশের ১১ সদস্যসহ আহত হয়েছেন বলে জানায় পুলিশ। ওসি মোহাম্মদ দাউদ জানান, সোমবার দুপুরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাস্তা আটকে মিছিল করছিলেন। তাদের রাস্তা ছাড়তে বলায় মিছিল থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।এক পর্যায়ে কার্যালয়ের ভেতর থেকেও চেয়ার ছুড়ে মারেন তারা। হামলায় তিনিসহ পুলিশের ১১ সদস্য আহত হয়েছেন।পরে শটগানের কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে আবু নাসের সুমন ও সাইফুল ইসলাম নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।আজ তাদেরকে আদালতে তোলা হবে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: