নিউজ ডেস্ক : গোপালগঞ্জে দেশের প্রথম সরকারি ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে। সামনের বছরে মিলবে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ও আইভি স্যালাইনও।
এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এহসানুল কবির জানিয়েছেন, এরই মধ্যে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারে শতভাগ মান নিশ্চিত করে প্ল্যান্টটিতে বর্তমানে বছরে প্রায় সাত কোটি ক্যাপসুল ও ষাট লাখ ড্রাই সিরাপ তৈরি হচ্ছে।
কোম্পানির ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায় মেশিনের বেল্ট ধরে একের পর এক বের হয়ে আসছে ড্রাই সিরাপের বোতল। সব ধাপ পার হয়ে প্রস্তুত হচ্ছে অ্যামোক্সাসিলিন ড্রাই সিরাপ। শেষের ধাপটা এখানে হলেও শুরু হয় আরেকটি রুম থেকে। বাক্সবন্দি কাঁচামাল কোয়ালিটি কন্ট্রোল শেষে নিয়ে আসা হয় মিক্সিন রুমে। এখানেই ক্যাপসুল কিংবা ড্রাই সিরাপ যাই হোক ফর্মুলা মেনে আরেকটি মেশিনে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মেশানো হয়। পরের ধাপ ক্যাপসুলে রূপ দেয়া হয়। প্রতিটি ক্যাপসুলে নির্দিষ্ট মাত্রায় ওষুধ প্রবেশ করিয়ে আবার তা আটকে দেয়া হয়। পরে একে একে স্ট্রিপ বা পাতায় ভরে তৈরি হয় প্যাকেজিংয়ের জন্য।
ঠিক একই প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় ড্রাই সিরাপও। তবে বোতলজাত করার আগে প্রতিটি বোতল একটি স্বয়ংক্রিয় মেশিনে জীবাণুমুক্ত করে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় শুকিয়ে তারপর পাঠানো হয় বোতলজাতে।
গোপালগঞ্জের এ ফ্যাক্টরিতে একদিকে সচল এ প্ল্যান্ট অন্যদিকে দিনরাত চলছে বাকি প্ল্যান্টগুলোর কাজ। সেখানে তৈরি হবে আইভি স্যালাইন আর জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি বা ইনজেকশেন। তবে সব থেকে বড় এখানেই গড়ে উঠছে সরকারি উদ্যোগে দেশের প্রথম ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট।
ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এহসানুল কবির সময় সংবাদকে বলেন, যদিও ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট একটি কিন্তু আমাদের ফ্যাক্টরি চারটি রয়েছে এখানে। অ্যান্টিবায়োটিক একটি ফ্যাক্টরিতে এরই মধ্যে তৈরি করা শুরু হয়েছে। তার পাশে সাড়ে ৬ হাজার একর জমিতে আমরা সেখানে ভ্যাকসিন উৎপাদনে প্ল্যান্ট তৈরি করব। পাশাপাশি এখানে একটি রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট সেন্টারও তৈরি হবে এখানে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: