• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সিলেটে লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপন্যের দাম


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৩০ পিএম
সিলেটে বাড়ছে নিত্যপন্যের দাম
বাড়ছে নিত্যপন্যের দাম

সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। শনিবার (১১জুন) সিলেটের বাজারে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিনের দাম রাখা হয়েছে ২০৫ টাকা। আগের সপ্তাহে এই সয়াবিন ২০০ টাকার কমে পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজেট ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি, আগের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ছে। তারা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে অন্তত ছয় থেকে সাত ধরনের পণ্যের দাম নতুন করে বেড়েছে।

লাগাতার অভিযানের পরও কমছে না চালের দাম। খুচরা বিক্রির দোকানে বিআর-২৮ চালের কেজি হচ্ছে ৫৪-৫৫ টাকা। পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৩ টাকায়, ৫৫-৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বিআর-২৯। এছাড়া ভালো মানের চিকন মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭২ টাকা কেজিতে। নাজিরশাইল ৭৮-৮০ টাকা, চিকন আতপ চাল ৬৮ টাকা ও পোলাও চাল ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজারে চালের দাম বাড়তি থাকায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে চিনি, আলু, ব্রয়লার মুরগি, ডিম, পেঁয়াজ, ডাল, শুকনা মরিচ, গুঁড়া দুধ ও বেশ কিছু সবজি।
ব্রয়লার মুরগি দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে। বাজারে এককেজি ব্রয়লার মুরগি কিনতে দাম পড়ছে ১৫০-১৬০ টাকা। গত সপ্তাহে ১৪৫/১৫০ টাকায় পাওয়া যেতো।

ফার্মের ডিমের দাম প্রতি হালি ৩ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে লাল ও সাদ ডিম ৪৫ টাকা হালি, হাঁসের ডিম ৬০ টাকা হালি, কক মুরগির ডিম ৪৫ টাকা হালি, কোয়েল পাখির ডিম ১২ টাকা হালি,  দেশি মুরগির ডিম ৬০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে।

৮০ টাকার চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৪ টাকা কেজি দরে। বাজারে মুগডাল ১২৫ টাকা, বুটের ডাল ৮০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৮ টাকা, মসুর ডাল ১৩৮ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রতিকেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা। আমদানি করা শুকনো মরিচ ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ২৮০  কেজি দরের শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। ২০০ টাকা কেজি দরের শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি দরে।

ব্যবসায়ীরা আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি করছেন ১৯০-২০০ টাকা। তবে দেশি রসুনের কেজি আগের মতো ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০-১২০ টাকা এবং হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকা। ২০ টাকা কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে।

মসলার মধ্যে আগের তুলনায় বেড়েছে জিরার দাম। ১০ টাকা দাম বেড়ে জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। বড় এলাচ ৪২০ টাকা, ছোট এলাচ ১৬২০ টাকা, দারুচিনি ৪০০ টাকা, লবঙ্গ ১১২০ টাকা, কালো মরিচ ৭১০ টাকা, সাদা মরিচ ৮৬০ টাকা।

ঢাকানিউজ২৪.কম / আবুল কাশেম রুমন/কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image