• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

আখাউড়া উপজেলার চান্দপুর গ্রামে দু'পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ০৪ এপ্রিল, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:৩৬ পিএম
জমি সংক্রান্ত বিরোধে পূর্বশত্রুতার জেরে গোষ
নাসির মিয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:   ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার চান্দপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে পূর্বশত্রুতার জেরে গোষ্ঠীগত দাঙ্গায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে  ২০ জন আহত।   সূত্রে জানা যায় গত ৩০ মার্চ চান্দ্পুর গ্রামের আবদুর রউফের গোষ্ঠীর লোকজন পূর্ব বিরোধের জের ধরে চান্দপুর বাজারে এসে ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় একই গ্রামের আনসারের গোষ্ঠীর লোকদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে ডাকতে থাকে এবং তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলে শালার ব্যাটারা বাইরইয়া  আয় আজকে মজা বুঝামু। একপর্যায়ে বাজারে শোরগোল চেঁচামেচি শুনে আনসারের গোষ্ঠীর লোকেরা বাড়ি থেকে  বেরিয়ে এলে দু'পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হলে  এতে উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায় ৩০ মার্চের  সংঘর্ষ কে  কেন্দ্র করে ৩১ মার্চ বিকালে একই গ্রামের  নাসির মিয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার ৫ টি গরু তার খালাম্মার কাছে ছয় লক্ষ টাকা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়ে চান্দ্রপুর বাজারে নিয়ে আসলে  গরু বিক্রির সাড়ে চার লক্ষ টাকা নগদ প্রদান করে। বাকি দেড় লক্ষ টাকা ক্রেতা পরে দিবে বলে জানায়। সালমা আক্তার গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে উঠানোর  আগেই চান্দপুর  গ্রামের প্রভাবশালী সন্ত্রাসী আব্দুর রউফের গোষ্ঠীর লোকজন পিকআপ ভ্যান থেকে  গরুগুলো জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিতে উদ্যত হলে গরুর মালিক নাসিরের স্ত্রী সালমা আক্তার   হানিফ মিয়ার স্ত্রী হোসনা বেগম গরুর ক্রেতা  আবুল  কাশেমের  স্ত্রী  রানোয়ারা বেগম নাসিরের   স্ত্রী সালমা আক্তার শোর চিৎকার করে গরু নিতে বাধা প্রদান করলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে স্কুলছাত্রীসহ সহ ৮ জনকে বেধড়ক পিটিয়ে লাঞ্চিত করে ৪টি  গরু বিক্রির সাড়ে চার লক্ষ টাকা ও সালমার গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় আব্দুর রউফের গোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা।

একটি ৮ মাসের গাভীন গরুকেও  তারা মারপিট করে গুরুতর আহত করে, গরুটি এখন মৃত্যুশয্যায়।   পরবর্তীতে ধরখার  ফাঁড়ির পুলিশের সহযোগিতায় গরুগুলো উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হয়নি সাড়ে চার লক্ষ টাকা ও সালমার গলার স্বর্ণের চেইন।

এ ব্যাপারে নাসিরের স্ত্রী সালমা আক্তার মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রব,  মৃত মনসুর মিয়ার  ছেলে এনু মিয়া মেম্বার, এনু মিয়ার  ছেলে ফারুক মিয়া,আব্দুর রউফ  মিয়ার ছেলে শরিফুল ইসলাম জয়সহ ১৪ জনকে আসামি করে সালমা আক্তার আখাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে ঘটনার পরদিন দুপুরে। বর্তমানে সালমা আক্তার গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতলে   চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।  স্কুল ছাত্রী ফাতেমা আক্তার নাইমা আক্তার ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি।

এব্যাপারে ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিমল কর্মকারের  সাথে কথা বললে তিনি জানায় সালমার গরু আমরা উদ্ধার করে দিয়েছি কিন্ত স্বর্ণের চেইন ও টাকা ছিনতাইয়ের বিষয়টি সঠিক নয়।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image