
বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি: দখল করে নেয়া হয়েছে ঢাকার সরকারী তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি গ্রামের পৈত্রিক বাড়ির ভিটেমাটি।
মঙ্গলবার সকালে আতিকুর রহমান আতিকের অভিযোগে জানা গেছে, নিজ দলের স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং থানা পুলিশের প্রত্যক্ষ মদদে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে প্রতিপক্ষের সাথে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আতাত করে তাদের দখলীয় ভিটেমাটি জবরদখল করে নিয়েছে। ওই সম্পত্তিতে গত তিনদিন ধরে পাকা স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নিয়ামতি গ্রামের বাসিন্দা আশ্রাফ আলী কাজীর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আতিক আরও জানান, প্রতিবেশী আনিস ফরাজী গংরা দীর্ঘদিন থেকে তার পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এরপূর্বে প্রতিপক্ষের লোকজনে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে সম্প্রতি সময়ে হামলা চালিয়ে তার পৈত্রিক বাড়ির বসতঘর এবং দোকানঘর ভাংচুর করে লুটপাট করে। এসময় তার বোন মাসুমা বেগমকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়।
এ ঘটনায় তার বাবা মোঃ আশ্রাফ আলী কাজী বাদী হয়ে ২৩ আগস্ট অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল আদালতে মামলা করেছেন। মামলা নং- ৫৫৫/২২ মামলাটি ২৬/৯/২২ তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সূত্রমতে, বরিশাল আদালতের এমপি মামলায় গত ১৭ আগস্টের আদেশে উল্লেখ করা হয় ‘জমি দখলে থাকলে এবং পূর্ব থেকে নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকলে সেখানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা কিংবা আপত্তি নেই। ওই আদেশের অপব্যবহার করে ছাত্রলীগ নেতা আতিকের দোকানঘর ভেঙ্গে নতুন স্থাপনা তৈরির কাজ শুরু করেছে আনিস ফরাজী গংরা। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা বলেন, দল ক্ষমতায় থাকাকালীন ছাত্রলীগ নেতার পৈত্রিক ভিটেমাটি যখন দখল করে নেয়া হয়েছে, তখন আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে।
তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্রলীগ নেতা আতিক বলেন, পৈত্রিক ভিটেমাটি রক্ষার জন্য প্রকৃত সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে স্থানীয় দলীয় নেতৃবৃন্দ ও থানা পুলিশের কাছে অসংখ্যবার ধর্না দিয়েও কোন ধরনের সহযোগীতা পাইনি। উল্টো সবখানেই হয়রানী ও নাজেহাল হতে হয়েছে। আমি আমার পৈত্রিক ভিটেমাটি রক্ষার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযুক্ত আনিস ফরাজীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে এ ব্যাপারে কোন ধরনের কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করলেও পুরো বিষয়টি থানার ওসি জানেন বলে উল্লেখ করেন।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আলাউদ্দিন মিলন প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও আদালতের একটি আদেশের অপব্যবহারের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ ভুল করলে সে বিষয়ে আদালত ব্যবস্থা নিবে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুজর মোঃ ইজাজুল হক বলেন, আদালতের আদেশ সম্পর্কে আমাকে কেউ কিছুই জানায়নি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: