
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কে ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। এর মধ্যে ব্যাপক লুটপাট ও সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে।
সহিংসতার মুখে উদ্ধার কাজ স্থগিত করেছে জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার উদ্ধারকর্মীরা। তবে দেশটির সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ৪৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তুরস্কের বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভূমিকম্পকবলিত ৮টি প্রদেশ থেকে ওই ৪৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আনাদলু এজন্সি।
ভূমিকম্পে ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়া থেকে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান পরিস্থিতি বিবেচনায় গত মঙ্গলবার তিন মাসের রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। ফলে এখন থেকে দেশটির রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলিরা চাইলে লুটপাট এবং সহিংসতার দায়ে অভিযুক্তদের ৩ থেকে ৪ দিনের জন্য আটক করতে পারবেন। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত নির্বাহী আদেশে রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলিদের এ ক্ষমতা দিয়েছেন এরদোয়ান।
শনিবার সকালেই এরদোয়ান জানিয়েছেন, তার সরকার অতি অবশ্যই লুটপাটকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির মুখোমুখি করবে। এ লক্ষ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এরদোয়ান বলেন, ‘এর মানে হলো, এখন থেকে লুটপাট ও অপহরণকারীদের জানা উচিত, আইনের হাত তাদের অবশ্যই খুঁজে বের করবে।’
ভূমিকম্পকবলিত এলাকাগুলোতে অজ্ঞাতনামা গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সহিংসতার কারণে জার্মান উদ্ধারকর্মী এবং অস্ট্রিয়ার সেনাসদস্যরা তাদের তৎপরতা বন্ধ করে দিয়েছেন।
অস্ট্রিয়া সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, হাতায় প্রদেশে অজ্ঞাতামা গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ফলে ‘অস্ট্রিয়ান ফোর্সেস ডিজাস্টার রিলিফ ইউনিটের’ কয়েক ডজন কর্মী অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে একটি বেস ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ করে দিয়েছেন।
অস্ট্রিয়া সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লে. কর্নেল পিয়েরে কুগেলওয়াইজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় বিভিন্ন গোত্র-উপগোত্রের মধ্যে সহিংসতা ক্রমেই বাড়ছে। এ অবস্থায় নিজেদের জীবন বিপন্ন করে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: