ডেস্ক রিপোর্টিার: নেপালের জ্বালানি ও খাবারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে চাপের মুখে পড়েছে সাধারণ মানুষ। মূদ্রাস্ফীতির কারণে দেশটির পরিস্থিতিও শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকট আরও তীব্র করেছে ইউক্রেন যুদ্ধ।
অনেকেই মনে করেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং বিদেশি পর্যটক বাড়লেই ঘুরে দাঁড়াবে নেপাল। রাশিয়া বা ইউক্রেন কারো সাথেই শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক নেই নেপালের। এরপরও যুদ্ধের আঁচ লেগেছে হিমালয়ের দেশটিতে।
করোনায় পর্যটন খাতে ধস, বাণিজ্য ঘাটতি, রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আগে থেকেই টালমাটাল দেশটির অর্থনীতি। ইউক্রেন যুদ্ধে আরও নাজুক হয়েছে পরিস্থিতি। আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণে নেপালের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত সাত মাসে ১৬ শতাংশ কমে ৯৫৯ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। খাদ্য ও জ্বালানির মতো প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার জন্য প্রয়োজনীয় ডলার জমা রাখতে নেপাল সরকারকে নিতে হয়েছে কঠোর পদক্ষেপ। গাড়ি, প্রসাধনী ও সোনার মতো পণ্য, যেগুলো অপরিহার্য নয়, সেসব আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে নেপালের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হবে না বলেই মনে করেন দেশটির কূটনীতিক পেয়াকুরেল।
একসময় শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা পেয়াকুরেল বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং বিদেশি পর্যটক বাড়লেই ঘুরে দাঁড়াবে নেপাল।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: