• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কুমিল্লার হাটে বিক্রি হচ্ছে বিষাক্ত কার্বাইড মিশ্রিত কলা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ১০ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:২৯ এএম
কুমিল্লার হাটে বিক্রি হচ্ছে
বিষাক্ত কার্বাইড মিশ্রিত কলা

মশিউর রহমান সেলিম, লাকসাম, কুমিল্লা : দক্ষিনাঞ্চলের লাকসাম, লালমাই,বরুড়া, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ  উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে বিষাক্ত কার্বাইড মিশ্রিত বিভিন্ন ধরনের কলা। স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারী থাকা শর্তেও কিছুতেই দমছে না বিক্রেতাদের বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত কলা বিক্রি। প্রত্যেক বছর  রমজান মাস আসলেই স্থানীয় প্রশাসনের ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকে তারপরও পুরো বছর জুড়ে দ্বিগুন উৎসাহ নিয়ে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক এ কলা প্রতিনিয়ত বিক্রি বেড়েই চলেছে। অথচ বিষাক্ত কেমিকেল মিশ্রিত কলা খেয়ে নানাহ রোগের ঝুঁকিতে পড়েছে এ অঞ্চলের  মানুষ। 

জেলার দক্ষিনাঞ্চল ৫টি উপজেলার-পৌর শহর এলাকা ছাড়াও গ্রামগঞ্জের হাট বাজারে বিক্রি করতে আনা বিভিন্ন জাতের কলায় মিশানো হচ্ছে বিষাক্ত কার্বাইডসহ বিভিন্ন মেডিসিন। আর এসব মেডিসিন মিশানো কলা খেয়ে সাধারন মানুষ ক্রমেই মৃত্যুর দিকে ঝুঁকে পড়ছে। 

উপজেলাগুলোর সর্বত্র ফল-মূলে বিশেষ করে কলায় এ ধরনের বিষাক্ত মেডিসিন ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। কলার সকল আড়ৎ গুলোতে চলছে মেডিসিন মেশানো কলা বিক্রির হিড়িক। এ অঞ্চলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কাঁচা কলা এনে বিভিন্ন কৌশলে পাঁকানো হচ্ছে আড়ৎগুলোতে। বছরের মৌসুমে এই কলা সম্পূর্ন পুষ্ট হওয়ার আগেই গাছ থেকে সংগ্রহ করেন কলা পাইকারী আড়ৎদাররা। পরে বিভিন্ন মেডিসিনের সাথে হালকা পানি মিশ্রন করে তা কাঁচা কলার উপর ছিটিয়ে দিলে ৫/৬ ঘন্টার মধ্যে কলার সবুজ রং পরিবর্তিত হয়ে হলুদ কিংবা লালছে রং হয়ে যায়। এছাড়া কলার বড় বড় স্তুুপে ছালার বস্তা দিয়ে ঝাঁক কিংবা কার্বাইড মিশ্রিত আগুনের ধোঁয়া দিয়ে কলা পাকানো হচ্ছে। এ ধরনের কলার চাকচিক্য সৌন্দর্য দেখে সাধারন ক্রেতারাও তা কিনে খাচ্ছেন অনায়াসে। 

জেলার ৫টি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারের জনৈক কলা বিক্রেতা জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কলার পাশাপাশি বিভিন্ন ফল-মূলও একই পদ্ধতিতে পাকিয়ে বিক্রি করা হয়। আবার অনেক ফল ব্যবসায়ী তা অস্বীকার করে ভিন্ন পদ্ধতির কথা বলছেন। স্থানীয় চিকিৎসাকরা এ সব মেডিসিন মিশ্রিত কলা সহ ফল-মূল খেলে মানবদেহের লিভার ক্যান্সার, কিডনি ও দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দপ্তরের কর্মকর্তারা রহস্যজনক কারনে ঐসব দেখেও না দেখার ভান করে যাচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার দক্ষিনাঞ্চলের ৫টি উপজেলার শহর এলাকার বেশ কিছূ ফলের আড়ৎ এবং দোকান গড়ে উঠলেও সড়কের দু’পাশের ফুটপাতে বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত পাঁকানো কলাসহ বিভিন্ন ফলমূল বিক্রি করা হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের সাথে বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব্য হয়নি।  এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগসহ বিতর্কিত ভূমিকার জন্য এলাকার জনমনে নানাহ কানাঘুষা হচ্ছে। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image