
ডেস্ক রিপোর্টার: বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যু দিবস ৯ ডিসেম্বর। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত ও সমাজ সংস্কারক ছিলেন। ধর্মীয় গোঁড়ামি ও চরম রক্ষণশীলতার সেই সময়ে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। রোকেয়ার সাহিত্য ও নারী অধিকারের চেতনা এ যুগেও ছড়াচ্ছে আলো। এবারও নানা আনুষ্ঠানিকতায় দিনটি পালিত হবে রংপুরের পায়রাবন্দে।
দীর্ঘসময়েও নারী জাগরণের অগ্রদূত এই মহীয়সীর স্মৃতিচিহ্ন ও বসতভিটা যথাযথ সংরক্ষণ না করায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। স্মৃতি সংরক্ষণ ও রক্ষায় উদ্যোগ না থাকায় প্রায় নিশ্চিহ্নের পথে রংপুর পায়রাবন্দের তাঁর বসতভিটা।
রোকেয়া সাখাওয়াতের ভাতিজি রণজিনা ছাবের জানান, সংরক্ষণের কোনও উদ্যোগ না থাকায় প্রায় সাড়ে তিনশ' বিঘা জমি বেদখল হয়েছে। তিনি বলেন, হয় উত্তরাধিকারীদের ভোগ দখলের সুযোগ দেয়া হোক অথবা সরকার এসব জমি অধিগ্রহণ করুক।
নারী-পুরুষ সমান্তরালভাবে অগ্রসরের জন্য বেগম রোকেয়া যে সংগ্রাম করে গেছেন, তা বাস্তবায়ন হয়নি এখনো।
পায়রাবন্দে পর্যটনকেন্দ্র ও শিক্ষানগরী গড়ে তোলার পাশাপাশি, জাতীয় পদক প্রদান অনুষ্ঠানটি পৈতৃক নিবাসে করার দাবি এলাকাবাসীর। রোকেয়ার স্মৃতি চিহ্ন ধরে রাখতে ১৯৯৭ সালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতায় একটি স্মৃতি কেন্দ্র ও লাইব্রেরি গড়ে ওঠে। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি।
বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রের উপ ব্যবস্থাপক আব্দুল্ল্যাহ আল ফারুক জানান, শিগগিরই একটা আধুনিক পাঠাগার নির্মাণ করা হবে। যেখানে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ভবিষ্যত প্রজন্ম বেগম রোকেয়ার সম্পর্কে জানতে পারবে ও গবেষণা করতে পারবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: