
নিউজ ডেস্ক: এক শ্রেণির মানুষ পুলিশ প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, মানবিক মূল্যবোধ—কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। সামান্য কারণেই যখন খুনের ঘটনা ঘটছে তখন বলতে হবে, মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বেড়ে গেছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং অপরাধপ্রবণতা প্রতিরোধের দায়িত্ব মূলত পুলিশ বাহিনীর। পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা অবশ্য বলেছেন, সার্বিক দিক বিবেচনায় তুলনামূলকভাবে দেশে অপরাধপ্রবণতা অনেকটা কম। তবে ফৌজদারি অপরাধ কমলেও বেড়েছে পারিবারিক নির্যাতন।
অপরাধ বৃদ্ধির পেছনে পারিবারিক বন্ধনে ছন্দঃপতন ও প্রযুক্তির অপব্যবহারকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন ঢিলে হয়ে গেছে অনেক আগেই। সমাজের ভেতর পরিবার, প্রতিবেশী, এলাকাভিত্তিক সংস্কৃতির চর্চা ও বন্ধনগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। অনুশাসন বলতে কিছু নেই। আগে সামাজিকভাবে প্রতিরোধের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা ইদানীং দেখা যায় না। আগের সামাজিক অনুশাসনগুলো আর কাজ করছে না।
উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনে প্রতিযোগিতা বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হত্যা বা আত্মহত্যা যেটিই হোক, প্রতিটি ঘটনার পেছনে প্ররোচনাকারী আছে। তাদের যথাযথভাবে শনাক্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত এগুলো কমবে না।
সূত্র : কালেরকন্ঠ
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: