নিউজ ডেস্ক: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক আজ। ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার ফাঁকে তার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে এ বৈঠকের আলোচনা সম্পর্কে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনায় তিনটি বিষয় গুরুত্ব পাবে। এগুলো হচ্ছে, র্যাবের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে আরও বেশি সুবিধা নিশ্চিত করা এবং সে দেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়া। এর বাইরে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার আরও কিছু বিষয় আলোচনায় আসবে।
সংশ্নিষ্ট কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে বাংলাদেশের অবস্থান এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে জোর দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া দুটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি আকসা ও জিসোমিয়ার প্রসঙ্গও আলোচনায় আসতে পারে। আলোচনায় আসতে পারে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও।
সংশ্নিষ্ট কূটনৈতিক সূত্র জানায়, গত ২০ মার্চ ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এ সহযোগিতার বিষয়টি দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকেও উঠতে পারে। বিশেষ করে আকসা ও জিসোমিয়া নামের দুটি চুক্তি সই করার বিষয়টি আলোচনায় তুলতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। আকসা হচ্ছে অ্যাকুজিশান অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট। এর অধীনে মার্কিন বাহিনী খাদ্য, জ্বালানি, গোলাবারুদ ও সরঞ্জামাদি বিনিময় করে থাকে। আর জিসোমিয়া হচ্ছে জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট। এই চুক্তির অধীনে সামরিক গোয়েন্দা তথ্যের বিনিময় করে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়গুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওয়াশিংটন বৈঠকেও উঠতে পারে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, আকসা কিংবা জিসোমিয়া চুক্তি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ১৯৩টি দেশের কাছে আরও আগেই প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশও আছে। তবে এ দুটি চুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়নি। এটা ওয়াশিংটন বৈঠকে আলোচনা হবে কিনা, সেটাও বৈঠকের আগে বলা যাচ্ছে না।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: