• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

যুব মহিলা লীগের জাতীয় সম্মেলন 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৫৬ এএম
জাতীয় সম্মেলন 
যুব মহিলা লীগ

নিউজ ডেস্ক : বৃহস্পতিবার যুব মহিলা লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত কয়েক বছরে বারবার বিতর্কের মুখে পড়া এ সংগঠনটির ইমেজ পুনরুদ্ধারে খোঁজা হচ্ছে নতুন নেতৃত্ব। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের শীর্ষ দুই পদের অন্তত একটিতে সংগঠনটির বাইরে থেকে কাউকে নিয়ে আসা হতে পারে।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সম্মেলনের আগে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে কে আসছেন, তা নিয়ে আলোচনা জোরদার চলছে কয়েক দিন ধরে। আগ্রহী প্রার্থীরা তদবির-লবিং চালিয়েছেন। তবে বর্তমান সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল আর স্বপদে থাকছেন না বলেই আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে। ২০০২ সালের ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠার পর থেকে তারা এ সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

২০০৪ সালে প্রথম সম্মেলনে সভাপতি হন নাজমা আক্তার। আর সাধারণ সম্পাদক হন অপু উকিল। দ্বিতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ১১ মার্চ। ওই সম্মেলনে নাজমা আক্তারকে সভাপতি ও অপু উকিল সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল থাকেন। প্রায় ২০ বছর এই দুজনের হাতেই সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব।

২০০৬, ২০০৭ ও ২০০৮-এ রাজপথের আন্দোলনে এ সংগঠনটির নজরকাড়া ভূমিকা ছিল। কিন্তু সরকারে আসার পর একের পর এক বিতর্কে পড়ে যুব মহিলা লীগ। বিশেষ করে বহুল সমালোচিত ‘পাপিয়াকাণ্ডে’ যুব মহিলা লীগের ভাবমূর্তি সংকটে পড়ে। এতে সংগঠনের অনেক নেত্রীর নামে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। পাপিয়াকে বহিষ্কারের পাশাপাশি তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে যুব মহিলা লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিনকেও অব্যাহতি দেয়া হয়।

অভিযোগ করা হয়, দলীয় কর্মসূচি, সভা, সমাবেশ করা এমনকি সরকারবিরোধীদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি বর্তমান কমিটি। তবে সচিবালয়ে তদবিরে তারা ছিলেন এগিয়ে। বিষয়টি নজরে এসেছে আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের নেতাদেরও।

বর্তমান কমিটির শীর্ষ নেতৃত্ব দিবসভিত্তিক কিছু কার্যক্রমের বাইরে তেমন আলোচনায় আসতে পারেননি। করোনার সময় তাদের কার্যক্রম নজরে আসেনি। অন্যান্য অঙ্গ বা ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো যে গতিতে মূল দলের পক্ষে কাজ করেছে, সেই গতিতে উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ যুব মহিলা লীগের নেত্রীরা দেখাতে পারেননি বলে মনে করে আওয়ামী লীগের নেতারা।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন, দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় মনে করছেন, যুব মহিলা লীগের শীর্ষ দুই পদের ব্যক্তিদের পরিবর্তন করে মেধাবী, শিক্ষিত, ত্যাগী এবং সাংগঠনিকভাবে সক্রিয়দের হাতে নেতৃত্ব দিলে সংগঠনটি আবার ঘুরে দাঁড়াবে। যারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদে আসবেন, তাদের সারা দেশে নারী নেত্রীদের সুসংগঠিত করে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অনুকূলে শক্তিশালী ভূমিকা নিতে হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এ বিষয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নেতৃত্ব আসবে। নেতা কে হবেন, সে বিষয়ে সংগঠনের অভিভাবক আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দেবেন। তবে যোগ্যতাই হবে নেতৃত্ব নির্বাচনের একমাত্র মাপকাঠি।’

জানা যায়, প্রায় ২০ বছর ধরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ আঁকড়ে থাকার পরেও বর্তমান নেতৃত্বই আবার শীর্ষ পদে থাকতে চান। তবে বর্তমান দুজনের বাইরেও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ১০-১২ জন নেত্রী আলোচনায় রয়েছেন। তারা হলেন বর্তমান কমিটির সহসভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজী, জাকিয়া পারভীন খানম, কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, আদিবা আঞ্জুম মিতা এবং ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিন। এ ছাড়া আলোচনায় রয়েছেন সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেদ্দা পারভীন রিমি, শারমীন আক্তার নিপা, শাহনাজ পারভীন ডলি, আইনবিষয়ক সম্পাদক নাভানা আক্তার। তবে সভাপতি পদে সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিকে নিয়ে আসা হতে পারে বলে জল্পনা আছে।

সভাপতি পদ প্রার্থী কোহেলী কুদ্দুস মুক্তির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি যাদের যোগ্য মনে করবেন, তাদের নেতৃত্ব মেনে কাজ করব।’

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থিতায় আলোচনায় থাকা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করি। বিরোধী দলে থাকাকালীন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে বহু আন্দোলন সংগ্রাম পেরিয়ে এখন যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছি। নেতৃত্বের বিষয় নেত্রী শেখ হাসিনাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। সামনে যেহেতু জাতীয় নির্বাচন, এ ক্ষেত্রে নারী ভোটারদের একটা বিষয় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নারী ভোটারদের নৌকার অনুকূলে সংযুক্ত করার কার্যক্রম চালিয়ে যাব।’

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image