স্টাফ রিপোর্টার, জহিরুল ইসলাম সানি: ৮ জানুয়ারি-কে জাতীয় কৃষক দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন প্রবীণ কল্যাণ ফাউন্ডেশন (পিকেকেএফ)। রোববার (০৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে "প্রবীণ কল্যাণ ফাউন্ডেশন" এর উদ্যোগে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।
"প্রবীণ কল্যাণ ফাউন্ডেশন"র চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন হীরক লিখিত বক্তব্যে বলেন , বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এ দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে শতকরা ৮৭ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। আর কৃষির ধারক-বাহক হলো কৃষক। বাংলাদেশ অর্থনীতিক সমীক্ষা ২০২২ অনুসারে, দেশের মোট শ্রম শক্তির ৪২.৬২ শতাংশ কৃষক। যা পরবর্তী বছরের চেয়ে ২২ লক্ষাদিক কৃষক বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলার প্রতিটি স্বাধিকার আন্দোলন সংগ্রামে কৃষকদের অবদান ছিল অপরিসীম। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী সমাপ্তির পরেও দেশের ৭ কোটি ৪ লক্ষ ৮ হাজার ২৬০ জন কৃষকদের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে জাতীয় কৃষক দিবস পালন করা হয়নি। কিন্তু দুঃখের বিষয় পৃথিবীর উন্নত দেশ চীন ১২ অক্টোবর, আমেরিকা ১২ অক্টোবর, উন্নয়নশীল প্রতিবেশী দেশ ভারত ২৩ ডিসেম্বর ও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি পাকিস্তান ১৮ ডিসেম্বর নিজ নিজ দেশে কৃষকদের জন্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় "জাতীয় কৃষক দিবস” পালন করে থাকে।
পৃথিবীর প্রাচীনতম পেশা কৃষি। আর কৃষকরাই খাদ্যের যোগানদাতা, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশ রক্ষার কাজে প্রথমে সামনের কাতারে শহিদ হয়েছিল। কৃষকরাই দেশের স্থানীয় সরকার থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট দিয়ে থাকে। বর্তমানে উচ্চ শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা আত্ম-কর্মসংস্থানের পথ হিসেবে কৃষিকে বেছে নিয়েছে। যদি সুশিক্ষিতরা কৃষি পেশায় আসে, তবে আমরা বিশ্বাস করি আবারো পাট, চা ও চামড়া জাতীয় পণ্য যথেষ্ট পরিমাণে উৎপন্ন হবে এবং বিদেশে রপ্তানী করে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে, যা দেশের
অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা- ২০২২ অনুসারে, করোনাকালীন পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতিতে জিডিপিতে কৃষি খাতে কৃষকদের অবদান ছিল ১২.৯১ শতাংশ। তাছাড়াও বাংলাদেশ সংবিধানের ১৯(১), ১৯(২) ও ২০(১) অনুচ্ছেদে 'কৃষকদের অধিকার ও সম্মানের কথা বলা হয়েছে। কৃষি প্রধান বাংলাদেশে “কৃষক পাবে সম্মান-কৃষি হবে লাভবান, দেশের অর্থনীতি হবে বেগবান'।
তিনি বলেন, কৃষি এবং কৃষকদের প্রতি আপনাদের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। কৃষকদের পেশাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানজনক ও মর্যাদাশীল পেশা হিসেবে গড়ার লক্ষে আপনাদের যথেষ্ট সুনজর ও তাগিদ রয়েছে। সেই জন্য আমরা সারা বাংলার কৃষকরা হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট “৮ জানুয়ারী জাতীয় কৃষক
দিবস” হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য জোর অনুরোধ জানাচ্ছি।
এছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল জব্বার, কৃষক দিবস এর উদ্যোক্তা আজগর আলী রূপক ও বাংলাদেশ কৃষক সন্তান অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএসএ) যুগ্ম আহবায়ক আবু তালেব খোকা।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: