ফুলবাড়ী প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পানি নিষ্কাশন ব্রীজের মুখ ভরাট করায় গত দুই সপ্তাহের ভারী বৃষ্টির পানি বের হতে না পেরে তলিয়ে গেছে বোরোধান ক্ষেত। জলাবদ্ধতায় ফসল হারানোর শঙ্কায় বোবাকান্না কাঁদছেন বড়ভিটা ইউনিয়নের ওই এলাকার শতশত কৃষক। এ পরিস্থিতিতে শত বছরের পানি নিষ্কাশনের পথরোধকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
১৩ এপ্রিল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই ইউনিয়নের নাওডাঙ্গা গ্রামের ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য বড়ভিটা মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রীজটির মুখে ভরাট করে একটি পরিবার বসতবাড়ি নির্মাণ করেছে। এরফলে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে নাওডাঙ্গা বিলের প্রায় ৫০ একর জমির শীষ বেরুনো বোরোধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হুমকির মুখে রয়েছে আরো ৫ শত একর জমির ধানক্ষেত। এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বেলাল হোসেন, কামাল উদ্দিন,আমিনুর, শামিম, নাজমুল, পুতুল ও মুকুল বলেন, বন্যার কারণে আমরা আমন মৌসুমে ফসল ঘরে তুলতে পারি না। বোরোধান চাষাবাদ করে আমাদের সারা বছরের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে হয়। ব্রীজের মুখ ভরাট করায় এবারে শীষ বেরুনো বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গিয়ে পঁচন ধরেছে।
ক্ষেতের ধান পঁচে নষ্ট হয়ে গেলে কি খাবো ভাবতে পারছিনা। আমরা দ্রুত এর একটা সমাধান চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দরখাস্ত দিয়েছি। বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য আঃ বাতেন বসুনিয়া বলেন , প্রায় একশ বছর আগে থেকে এই ব্রীজ দিয়ে জমির পানি নেমে যাচ্ছে। তা হঠাৎ করে বন্ধ করায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ফসল নষ্ট হচ্ছে। আমি প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করছি কৃষকদের ফসল বাঁচানোর জন্য দ্রুত ব্রীজটির নিচ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হোক।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বড়ভিটা ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / জাকারিয়া মিঞা/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: