• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১২:০৬ পিএম
পঞ্চগড়ে
শীতের আমেজ

নিউজ ডেস্ক : হিমালয় কন্যা ও শীতের জেলা নামে খ্যাত দেশের উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের হিম বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে তাপমাত্রা, বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতের তীব্রতা।  

গত এক সপ্তাহ ধরে সকালে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। দিনে বেলা সারাদিন হাসি উজ্জ্বল রোদ্র আর গরম আবহাওয়া থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল হাওয়া। ঢাকতে শুরু করছে কুয়াশাছন্ন চারপাশ। 

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷  যা চলতি শীত মৌসুম ও সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত কয়েক দিন ধরেই এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। 

জানা যায়, হিমালয়ের পর্বতের অনেক কাছাকাছি অবস্থান দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। ফলে প্রতিবছর এ জেলায় অন্যান্য জেলার তুলনায় আগেভাগে শীতের আগমন ঘটে। স্থায়ীত্ব থাকে দীর্ঘসময়৷ কারণ উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের হিম বায়ুর কারণে তাপমাত্রা নিম্ন হয়ে এক অঙ্কের ঘরে এসে পৌছায়৷ ফলে এ জেলায় কনকনে শীত অনুভূত হয়৷ তবে বিগত বছরের তুলনায় এবার ১৫ দিন আগেই এ জেলায় শীতের আমেজ শুরু হয়েছে৷ সন্ধ্যা হলেই হিমেল বাতাস ও কুয়াশায় ঢাকা থাকে চারপাশ৷ দিন দিন এভাবে তাপমাত্রা হ্রাস পায় ও শীত অনুভূত হয়।

সরজমিন দেখা যায়, নভেম্বর থেকেই এখানে শীতের প্রকোপ শুরু হয়। তবে দিনের বেলায় রোদ থাকলেও ভোরে কমছে তাপমাত্রা। গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশা পড়তে দেখা গেছে। ধীরে ধীরে শীতের আমেজ শুরু হচ্ছে এ জেলায়। সন্ধ্যা হলেই শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর কুয়াশার সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাস বইছে পঞ্চগড়ে। ভোর ৫টা থেকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যায়। কুয়াশার কারণে নদী তীরবর্তী মানুষরা দুর্ভোগে পড়েছেন। তবে সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা চলে যায়। বিকেল হলেই রোদের তীব্রতা কমে গিয়ে ঠাণ্ডার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

জেলা শহরের রিকশা চালক আলাল হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার আগেভাগেই শীত নামতে শুরু করেছে। দিনের বেলা রোদ্র থাকলে আবার সন্ধ্যা হলে বাতাস ও ঠান্ডা নামতে শুরু করে। কয়েক দিন ধরে গরম কাপড় পড়তে শুরু করেছি। জানি না এবার কি হয়, শীতকাল মানেই আমাদের কষ্ট। 

জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার পাথর শ্রমিক সামিউল ইসলাম বলেন, সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয় তেঁতুলিয়ায়। তবে সহায়তা হিসেবে তেমন কোনো শীতবস্ত্র পাই না। যা পাওয়া যায় সেগুলো পাতলা কম্বল। লেপ নেই বাড়িতে এমন কোনো মানুষ নেই। আমরা চাই গরম মোটা কাপড়।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, হিমালয় কাছাকাছি হওয়ায় শীতের প্রকোপ পড়তে শুরু করেছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ধীরে ধীরে ঠাণ্ডার পরিবেশ বিরাজ করতে শুরু করেছে। সামনে আরো তাপমাত্রা কমবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image