
নিউজ ডেস্ক: সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারাতে হচ্ছে পুরোহিত বাবুলকে। পুলিশের অবহেলায় পাচ্ছেন না কোনো আইনি প্রতিকার। চিকিৎসায় চলে গেছে অনেক অর্থ। বাবুলের পরবর্তী চিকিৎসা কিভাবে হবে? পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন তিনি। কি হবে তার স্ত্রী সন্তানের ভবিষ্যৎ? এ নিয়ে দু:শ্চিন্তায় পার হচ্ছে তার পরিবারের প্রতিটি দিন। শনিবার বাবুল আচার্য এসব কথা বলেন ঢাকানিউজ২৪ডটকম কে।
ঘটনার সূত্রপাত গত বছর ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর রাত ১১টায়। আজমেরি পরিবহনে বাসায় ফিরছিলেন বাবুল চন্দ্র আচার্য। টঙ্গী বাজার থেকে টঙ্গী স্টেশন রোডে নামার কথা ছিল তার। পুলিশের ভয়ে বাসটি জায়গামত থামেনি। মিল গেইট এলাকায় চলতি বাস থেকে তাকে ধাক্কা মারে হেলপার। বাস থেকে ছিটকে পড়ে যান বাবুল। এতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয় তার পায়ের নিচের অংশ। এ সময় জ্ঞান হারান তিনি। আশপাশের পথচারীরা তাকে ধরাধরি করে নিকটস্থ টঙ্গীর আহসানউল্লাহ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তার পরিবার হাসপাতালে ছুটে আসে।
তখন তারা জানতে পারে সেখানকার কর্তব্যরত পুলিশ আজমেরি পরিবহনের বাসটিকে আটক করেছে। পরে এ নিয়ে পশ্চিম টঙ্গী থানায় অভিযোগ দিতে গেলে থানা অভিযোগ নেব নিচ্ছি করে সময় পার করে। এ বিষয়ে পশ্চিম টঙ্গী থানার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়া। তবে নির্ভর যোগ্য কারো নম্বর পাওয়া না যাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
এদিকে বাবুলের পরিবার তার চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে থানায় আর যোগাযোগ করা হয়নি। এভাবে পার পেয়ে যায় আজমেরি পরিবহনের সেই বাস। বাবুল চন্দ্র আচার্য এখন পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা তার পা কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / সুমন দত্ত
আপনার মতামত লিখুন: