• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ৩০ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ইসলামের নামে ফেৎনা-বিভেদ সৃষ্টিকারীদের রুখে দাঁড়ান: ড. হাছান


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:৫৭ এএম
যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে ইসলাম বিস্তার লাভ করেনি
ড. হাছান মাহ্‌মুদ

নিউজ ডেস্ক:  ইসলামের নামে ফেৎনা-বিভেদ সৃষ্টিকারীদের রুখে দাঁড়ানোর উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

ঈদে-মিলাদুন্নবীতে শান্তি মহাসমাবেশে ড. হাছান দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে স্মরণ করিয়ে দেন, এই জনপদে, এই উপমহাদেশে কোনো যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে ইসলাম বিস্তার লাভ করেনি। ওলি-আম্বিয়ারা মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে, বুঝিয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এনেছেন। তাই যারা ইসলামের কথা বলে ওলি-আম্বিয়াদের বিরোধিতা করে, হানাহানিতে লিপ্ত হয়, অন্য ধর্মাবলম্বীদের ওপর আক্রমণ করে, তারা ফেৎনা বা বিভেদ সৃষ্টিকারী। এদের রুখে দাঁড়াতে হবে।

আজ ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী (সা:) এর জন্ম ও ওফাত দিবস পবিত্র ঈদে-মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত জশনে জুলুস ও শান্তি মহাসমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আয়োজক সংগঠন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়া ও আন্তর্জাতিক সুফি ঐক্য সংহতির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান অনলাইনে এবং শাহসুফি সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।

মন্ত্রী বলেন, 'পৃথিবীতে হানাহানি, দলাদলি বন্ধ করে মানুষকে সুপথে এনে শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছেন মহানবী (সা:)। ইসলামের মূল মর্মবাণী মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ ও সম্প্রীতি স্থাপন করা। যারা এই মর্মবাণী ধারণ করে, তারা কখনো জঙ্গি হয় না, হানাহানিতে লিপ্ত হয় না, ইসলামের নামে কারো ওপর আক্রমণ করে না, কারণ রাসুল (সা:) কখনো ধর্মের নামে কারো ওপর আক্রমণের শিক্ষা দেননি, ইসলাম কখনো সে শিক্ষা দেয় না।'

কিন্তু আজকে ইসলামের এই মূল মর্মবাণী থেকে সরে গিয়ে অনেকে ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ওলি-আম্বিয়াদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তরুণদের বিপথগামী করে, বলেন তিনি।

‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ এবং বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষেরা ইরাকের বাগদাদ থেকে ধর্মপ্রচারের জন্য এদেশে আসেন' স্মরণ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এদেশ যেমন মুসলিমদের, তেমনই হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানদের, আমাদের সবার। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশের হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এখানে শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ বজায় রাখতে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো।’

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image