• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের ক্রেস্ট ও সনদ লকার বন্দি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:৫৫ এএম
যুদ্ধে দুই সহস্রাধিক ভারতীয় সৈন্যের আত্মদান অনন্য নজির
আত্মদান অনন্য নজির

নিউজ ডেস্ক:  স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বিশ্বের যে কয়টি দেশ প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়েছিল, তার মধ্যে ভারতের অবদান সবচেয়ে বেশি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার মুখে এক কোটি বাঙালি শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র জোগানো, জোরালো কূটনীতি; সেই সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে দুই সহস্রাধিক ভারতীয় সৈন্যের আত্মদান অনন্য নজির।

এমন প্রেক্ষাপটে ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সম্মাননা দিতে উদ্যোগ নেয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ জন্য প্রতিটি ৭০ গ্রাম রুপা দিয়ে ১৬৬৮টি জাতীয় স্মৃতিসৌধের ক্রেস্ট এবং তাঁদের নামে পৃথক সনদ তৈরি করা হয়। সনদগুলো বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় লেখা হয়েছে। এ ছাড়াও সম্মাননাপ্রাপ্ত পরিবারগুলোর জন্য উত্তরীয়সহ আরও ৫ ধরনের উপহার রয়েছে। কিন্তু ১৬৪৯ জন শহীদের ক্রেস্ট ও সনদ বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে পড়ে রয়েছে প্রায় ৪ বছর ধরে। অবশ্য দুই দফায় ২০১৭ সালে ৭ জন এবং ২০১৮ সালে ১২ জন শহীদ পরিবারের হাতে সম্মাননা স্মারকসহ উপহার সামগ্রী তুলে দিয়েছে সরকার।

সম্মাননা পেলেন যাঁরা : স্বাধীনতার ৪০ বছর পর সর্বপ্রথম বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননা জানানোর প্রথম পর্যায়ে ২০১১ সালের ২৫ জুলাই ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘স্বাধীনতা সম্মাননা’ দেওয়া হয়। ইন্দিরা গান্ধীর হয়ে তাঁর পুত্রবধূ কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় পর্বে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা ৮৩ জন বিদেশিকে ২০১২ সালের মার্চে ‘মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’; একই বছরের অক্টোবরে ৬১ জনকে ‘মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের ৭ জুন মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা দেওয়া হয় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীকে। তাঁর পক্ষে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সম্মাননা গ্রহণ করেন। ঢাকায় বঙ্গবভনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সম্মাননা তুলে দেন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ভারতসহ চারটি দেশের ৩৬০ জনকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেয়েছেন ভারতের ২৩৯ ব্যক্তি ও ৯টি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ২৯, পাকিস্তানের ১৭, যুক্তরাজ্যের ১৩ ও  নেপালের ৯ জনকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। সম্মাননাপ্রাপ্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভারতীয় ব্যক্তিরা হলেন– ভারতের লে. জেনারেল (অব.) প্রয়াত জে এফ আর জ্যাকব, ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ বাহিনীর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ জগজিৎ সিং অরোরা এবং ফিল্ড মার্শাল মানেকশ।

বিদেশি বন্ধুদের এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা ও মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা– এই তিন ক্যাটাগরিতে ক্রেস্ট দেওয়া হয়েছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image