ডেস্ক নিউজ: পদ্মা সেতু নিয়ে শুরু থেকেই ছিলো নানা ধরনের প্রচারণা। এই সেতু নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, সেতুই বানাতেই পারবেনা আওয়ামী লীগ সরকার। এমনকি জোড়াতালির সেতু বলে তাতে মানুষকে উঠতেও না করেছিলেন তিনি। তার সাথে সুর মিলিয়ে সমালোচনায় মেতেছিলেন সুশীল সমাজের অনেকেই। নানা চাপে পদ হারান সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। জেলও খাটতে হয়েছিলো সেতু সচিবকে। পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা জিয়ার সেই বক্তব্য তখন তোলপাড় তুলেছিল। এমনকি এই সরকার পদ্মা সেতু বানাতেই পারবে না বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।
দলীয় প্রধানের এমন বক্তব্যের পর বিএনপির অন্যান্য নেতারাও কম যাননি পদ্ম সেতু নিয়ে। পরবর্তীতে দুর্নীতির চেষ্টার অভিযোগ তুলে ২০১২ সালের জুন মাসে অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ায় বিশ্বব্যাংক। তা নিয়ে সমালোচনায় মেতে ওঠেন সুশীল সমাজের অনেকে। সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার পদ্মা সেতুকে দুর্নীতির উদাহরণ বলে উল্লেখ করেন। সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সে সময় বলেন, সরকার কেবল অভিযোগ অস্বীকার করেই যাচ্ছে।
আর টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন তোলেন, দুদকের ভূমিকা নিয়েও ওই দুর্নীতির চেষ্টার ওই অভিযোগের পর কানাডার আদালতে তা ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। তার পেছনে যে নানা চক্রান্ত ছিল তা বুঝতে ভুল করেনি প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বব্যাংকের ওই অভিযোগের তীর ছিলো তখনকার যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেনের দিকে। নানা সমালোচনার মুখে ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি পদ হারান আবুল হোসেন। একই কারণে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাধ্যতামূলক অবসরে যেতে হয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানকেও। এমনকি সেতু সচিব মোশাররফ হোসেনকে জেলও খাটতে হয় এই পদ্মা সেতু কাণ্ডে।
বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ালেও থেমে থাকেনি পদ্মা সেতুর কাজ। নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি হওয়া পদ্মা সেতু আজ সমৃদ্ধ হতে চলা বাংলাদেশের প্রতীক, স্বপপূরণের মাইলফলক। শুধু তাই নয়, এই সেতু সমালোচক ও চক্রান্তকারীদের মুখে চপেটাঘাতের এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। "পদ্মা সেতু নিয়ে শুরু থেকেই ছিলো নানা ধরনের প্রচারণা।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, সেতুই বানাতেই পারবেনা আওয়ামী লীগ সরকার। এমনকি জোড়াতালির সেতু বলে তাতে মানুষকে উঠতেও না করেছিলেন তিনি। তার সাথে সুর মিলিয়ে সমালোচনায় মেতেছিলেন সুশীল সমাজের অনেকেই। নানা চাপে পদ হারান সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। জেলও খাটতে হয়েছিলো সেতু সচিবকে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: