নিউজ ডেস্ক : আ স ম আবদুর রব বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখার স্বার্থে যেনতেন প্রকারে আইএমএফের শর্ত পূরণে জনগণকে বলি দিচ্ছে সরকার। দুর্নীতি ও অপচয় বন্ধ করেও ঘাটতি সমন্বয়ের শর্ত পূরণ করা যেত। সরকার সে পদক্ষেপ নেয়নি। সরকার সীমাহীন দুর্নীতি ও অবাধ লুন্ঠনের পথ খোলা রেখে দেশের জনগণের বেঁচে থাকার অধিকারকেই তছনছ ও পদদলিত করে দিয়েছে।
সুতরাং, বেঁচে থাকার স্বার্থেই সরকারকে বিদায় করার লক্ষ্যে চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য জনগণকে রাজপথে নামতে হবে। জনগণের পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকে গেছে। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
কোন জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকারের পক্ষেই জ্বালানি তেলের দাম একসঙ্গে হঠাৎ করে অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ানো সম্ভব হতো না, সরকার ভোটার বিহীন ও গণবিরোধী বলেই তা সম্ভব হয়েছে।
বিভিন্ন দল থেকে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর জেএসডিতে যোগদান উপলক্ষে আ স ম আবদুর রব উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন। সিরাজগঞ্জে অনুষ্ঠিত যোগদান অনুষ্ঠানে আ স ম আবদুর রব ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
তিনি আরো বলেন, অসহনীয় মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্ব গতিতে জনজীবন যেখানে গভীর সংকটে নিপতিত সেখানে বিশ্ব বাজারে তেলের মূল্য কমা সত্তেও অস্বাভাবিকভাবে তেলের দাম বৃদ্ধি করায় সকল ক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদির মূল্য আরো কয়েক ধাপ বৃদ্ধি পাবে। যা জনগণকে চরম দুর্দশায় পিষ্ট করবে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র বিকল্প গণজাগরণ, গণবিস্ফোরণ ও গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করা।
যোগদান অনুষ্ঠানে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, বিদ্যমান রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তন ছাড়া প্রজাতন্ত্রের উপর জনগণের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
জেএসডি'তে যোগদানকারী নেতৃবৃন্দদের অন্যতম আশিক হাসান, আজাদ, সোহাগ, তারেক রহমান, কবির আহমেদ, শাকিল আহমেদ, হুমায়ুন কবির জুয়েল, টিএম আলম তালুকদার, কাজী মোঃ আকবর রহমান, আল হেলাল, মোঃ কুতুব উদ্দিন বাচ্চু প্রমুখ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: