নিউজ ডেস্ক : কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে দাম না কমলে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। রোববার (২১ মে) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা মাঠ থেকে তথ্য পাচ্ছি যে, পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত আছে। তবুও দাম বেশি। আরও বলেন, পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকার (প্রতি কেজি) বেশি হওয়া উচিত না। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে দাম না কমলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা চলছে। হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায়, আবার কিছুটা কমে। দেশের পেঁয়াজের বাজার দর দু-একদিনের ব্যবধানে ওঠানামা করে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গত ৪ থেকে ৫ দিন ধরে বাজার বুঝার চেষ্টা করছেন বলে জানান। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে কী হচ্ছে, তা দেখছি। পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি তো কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য না। সেই তুলনায় আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে দাম অনেক কম। সেখান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজারকে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে পারি, যুক্তিসঙ্গত একটা দামের মধ্যে নিয়ে আসতে পারি।’
গত বছর পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হওয়ার পাশাপাশি মজুতও ভালো ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরে অনেক পেঁয়াজ পচে গেছে। মূলত অনেক আড়তদার দাম বাড়ার আশায় পেঁয়াজ মজুত রেখে দিয়েছিলেন, যা পরে নষ্ট হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়েছে এ বছরের পেঁয়াজ আবাদে। গত বছর পচে যাওয়ায় এবং দাম কমে যাওয়ায় এবার পেঁয়াজ আবাদও কম হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ খুবই পচনশীল ফসল। এটি মজুত রাখা কঠিন। ধান কিংবা সরিষা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু পেঁয়াজ রাখা যায় না, শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে গেলে ওজন কমে যায়, তখন দাম অনেক কমে যায়।
পেঁয়াজের শেলফ লাইফ কম, আলুর মতো নয় মন্তব্য করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘তবে পেঁয়াজ গুদামে রাখা নিয়ে কিছু প্রযুক্তি নিয়ে এসেছি। যদি পেঁয়াজের শেলফ লাইফ বাড়ানো যেত, তাহলে আমাদের যে উৎপাদন হচ্ছে, তাতে পেঁয়াজ দিয়ে বাজার ভাসিয়ে দেয়া যেত।’
তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম মৌসুমে ২৫ থেকে ৩০ টাকা হয়। এটা বেড়ে এমন পর্যায়ে গেছে যে, এটা এখন ৮০ টাকা। আমরা সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: