
মোঃ মশিয়ার রহমান, জলঢাকা প্রতিনিধি, নীলফামারী : আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা ফুল তুলিতে যাই, ফুলের মালা গলায় দিয়ে মামার বাড়ি যাই, ঝরের দিনে মামার দেশে আমি করাতে সুখ, পাকা আমের মধুর রসে রঙ্গিন করি মুখ। পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের মামার বাড়ী কবিতার সাথে পরিচিত নয় এমন মানুষ খুবই কম আছে।
মানুষের জীবনে শৈশব স্মৃতির পাগল করা দিন গুলির সাথেই যেন মিশে আছে নানার বাড়ীতে গিয়ে পাকা আম খাওয়ার স্মৃতি। মধু মাস আসলেই যেন চারদিকে আমের মৌ মৌ ঘ্রান। নানান জাতের সুস্বাদু আমি খাওয়ার লোভ সবার মাঝে বিদ্যমান, ঋতু চক্রের পালা বদলে আবার আসছে মধু মাস। অপেক্ষা কেবল কিছু সময়ের।
মধু মাসের আগমনী বার্তা নিয়েই যেন নীলফামারীর জলঢাকায় মুকুলে ভরে গেছে আমের গাছ । হলদে বর্নের এই মুকুল গুলো যেন প্রকৃতিতে নিয়ে এসেছে বিপুল সৌন্ধর্যের সমাহার, হৃদয় মাতানো এ দৃশ্য দেখে খুশিতে মাতোয়ারা ছোট কিশোর কিশোরীর দল সহ মৌ মৌ গন্ধে মধু সংগ্রহে মৌমাছিদেরও ছোটাছুটি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে আম গাছের তদারকিতে ব্যস্ততা বাড়ছে আম চাষিদের।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে উপজেলার আম গাছগুলোতে উপছে পড়ছে মুকুল।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ফাগুন মাসেই প্রতিটি আম গাছে পুরোপুরি ভাবে মুকুল ছেয়ে যাবে। যে কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর আমের ভালো ফলনের আশা করছেন তারা।
এ অঞ্চলে দেশীয় আম গাছসহ ল্যাংড়া, ফজলী, হাড়িভাঙ্গা, মালদাহসহ বিভিন্ন জাতের আম চাষ করা হয়। এখানকার আম নিজেদের চাহিদা মিটিয়েও বাণিজ্যিক ভাবে হাট-বাজারে বিক্রি করে অনেকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে এ বছর আম গাছে মুকুল বেশি দেখা যাচ্ছে। মুকুল ধরে রাখতে প্রতিটি গাছের পরিচর্চা করছে কৃষক-কৃষাণীরা।আম চাষি উমর ফারুক, সোলাইমান ও গনেশ চন্দ্র , বিকাশ রায় সহ তাদের বাড়িতে বিভিন্ন জাতের আম গাছ রয়েছে। গেল বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে গাছে আমের মুকুল বেশি ধরেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহম্মেদ জানান, বসতবাড়িসহ এ উপজেলার কৃষকরা বিভিন্ন জাতের আম চাষ করেছে। কৃষি বিভাগ আম চাষিদের সব ধরনের সহায়তা প্রদান করছে। এ বছর তীব্র শীতের কারণে একটু দেড়িতে আমের মুকুল বেড়িয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সব গাছে চলতি মাসের শেষের দিকে আমের মুকুল দেখা যাবে আশা করছে কৃষকরা।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: