• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সুন্দরগঞ্জের ভাঙন কবলিত এলাকা হেলিকপ্টারে দেখলেন জাহিদ ফারুক


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ২২ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৫১ এএম
সুন্দরগঞ্জের হেলিকপ্টারে দেখলেন জাহিদ ফারুক
তিস্তার ভাঙন কবলিত এলাকা

ইবান্ধা থেকে আঃ খালেক মন্ডলঃ পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের কাশিম বাজারের হেলিকপ্টার অবতরণ করে তিস্তার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করার কথা ছিল ২১ মে। কিন্তু অনিবার্জ কারণ বসত প্রতিমন্ত্রী কাশিমবাজারে অবতরণ না করে হেলিকপ্টারে তিস্তার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি হেলিকপ্টারের থেকে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বক্তিবর্গের সাথে কথা বলেন। পরে তিনি কুড়িগ্রাম জেলায় সফর করেন।

কাশিমবাজার নাজিমাবাদ বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম রঞ্জু জানান, তার সাথে প্রতিমন্ত্রীর ফোনে কথা বলেছেন। প্রধান শিক্ষক কাশিমবাজারসহ চারটি প্রতিষ্ঠান রক্ষায় নদী ভাঙন স্থায়ীভাবে রোধ করার অনুরোধ জানান। প্রতিমন্ত্রী ভাঙন রোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। 

গত এক সপ্তাহ ধরে অবিরাম বর্ষন এবং উজান থেকে নেমে ঢলে তিস্তার পানি একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে উজানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার তারাপুর, বেলকা হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর করাল গ্র্যাসে প্রতিবছর হাজারও পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছে। স্থায়ীভাবে আজও ভাঙন রোধ করতে পারেনি পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জাতীয় সংসদে বহুবার কথা বলার পর ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলার জন্য ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকার বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। প্রকল্পটির কাজ চলমান রয়েছে।

হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম জানান, গোটা হরিপুর ইউনিয়নটি তিস্তা নদীতে বেষ্টিত। প্রতিবছর নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছে শতাধিক পরিবার ও  হাজার একর ফসলি জমি। ভাঙন রোধে বর্তমানে হরিপুর ইউনিয়নের কারেন্ট বাজার এলাকায় জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। তিনি বলেন স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ করতে না পারলে চলতি মৌসুমে কাশিমবাজারসহ চারটি প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাবে।  

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, দীর্ঘদিনের ভাঙনে হরিপুর ইউনিয়নের কাশিমবাজার এলাাকায় ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। কাশিমবাজারসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভাঙনের মুখে। তিনি বলেন ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও টিউব ও জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এরপরও প্রতিমন্ত্রী মহোদয় দেখে গেলেন এবং প্রতিশ্রæতি প্রদান করে গেছেন।

সাংসদ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, তিস্তার করাল গ্রাস থেকে হরিপুরের কাশিমবাজার, হাইস্কুল প্রাইমারি স্কুল, বালিকা স্কুল, মাদ্রাসা সমুহ রক্ষা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। এজন্য স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে বিলিন হয়ে যাবে কাশিমবাজারসহ প্রতিষ্ঠান সমুহ। তিনি প্রতিমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন। ইতিমধ্যে জিও টিউব ও জিও ব্যাগ ফেলা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image