নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দা না করায় ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গের সমালোচনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-তে নিযুক্ত চীনা মিশন। এক বিবৃতিতে মিশন দাবি করেছে, বেইজিং নয়, ন্যাটোই আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাকে অস্থিতিশীল করছে। মার্কিন সাময়িকী নিউজউইক এখবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্টোলটেনবার্গ বলেছিলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে বেইজিংয়ের নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে অবমূল্যায়ন করছে। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনের অবস্থান নিতে না পারার ব্যর্থতা আমাদের সবার জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ।
স্টোলটেনবার্গ স্পষ্ট করেছেন, রাশিয়ার আক্রমনের ঘটনায় চীনের প্রতিক্রিয়াকে জোটের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় ইইউ’র চীনা মিশন নিউজউইককে এক বিবৃতি পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সংকট শুরুর পর থেকে চীন সব সময় একটি উদ্দেশ্য ও নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। শান্তি আলোচনার পক্ষে প্রতিশ্রুত থেকে এবং পরিস্থিতির অবনতি যাতে না হয় সেজন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
ন্যাটোকে ইঙ্গিত করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যেসব সংস্থা আগুনে জ্বালানি যোগাচ্ছে তাদের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
রাশিয়ার আক্রমণ মোকাবিলায় ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোরও সমালোচনা করেছে বেইজিং। তারা বলেছে, শীতল যুদ্ধ শেষ হওয়ার ত্রিশ বছরের বেশি সময় হয়ে গেছে। সেই যুদ্ধের অবশেষ ন্যাটো শুধু যে নিজের ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে তা নয়, তারা ভৌগলিক বিস্তৃতি অব্যাহত রেখেছে এবং ক্রমাগত চীনকে নিশানা করছে। এটি বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের সরাসরি নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে চীন। এই যুদ্ধের কারণে মস্কোর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞারও সমালোচনা করছে দেশটি।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, ইতিহাস ও বাস্তবতা প্রমাণ করেছে নিষেধাজ্ঞা শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে আসে না। এতে শুধু পরাজয় আসে।
তিনি অভিযোগ করেন, ইউক্রেন সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রচুর অর্থ মুনাফা করছে।
ইউক্রেনে রুশ সেনাদের দ্বারা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: