• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলার আসামি শাহিন গ্রেপ্তার 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:০৬ পিএম
আল আমিন নাম ব্যবহার করে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র করেন।
আসামী আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিন

মনিরুজ্জামান মনির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ    ব্রাহ্মণবাড়িয়া দুটি হত্যা মামলায় আসামী আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিন (৩১) নামে এক ব্যক্তি কে গ্রেফতার করছে র্যাব -১৪। এরমধ্যে সে একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী।

রবিবার দুপুরে  ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য জানান র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের । শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের থলিয়ারা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শাহিন সদর উপজেলার নাটাই উত্তর এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনের র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, ২০১৫ সালে মার্চ মাসে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজের একদিন পর বিজয়নগরের বিষ্ণুপুরে ধান ক্ষেতে মিলে সিএনজি চালক উজ্জ্বলের মরদেহ।

পুলিশের তদন্তে জানা যায়, উজ্জ্বলের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল আলমগীর হোসেন ওরফে শাহীন। উজ্জ্বলের সিএনজিটি ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে শাহীন তার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং হত্যার পর সিএনজিটি নিয়ে যায়। এই হত্যা মামলার পলাতক আসামী আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিন। 

২১ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বোল্লা টানপাড়া ব্রিজের নিচ থেকে সিএনজি চালক সোহরাবের হাত বাধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশি তদন্তে এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটিত হয়। তদন্তে জানা যায়, যাত্রী বেশে সিএনজিতে উঠে সোহরাবকে হত্যা করে শাহীন। পরে সিএনজিটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আলমগীর হোসেন ওরফে শাহীন। 

এসব ঘটনায় পলাতক আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিন যাবজ্জীবন সাজা ও মামলা থেকে রক্ষা পেতে চলতি বছরের জুলাই মাসে নিজের নাম পরিবর্তন করে আল আমিন নাম ব্যবহার করে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র করেন। সেখানে তার ঠিকানা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ভাটিয়াপাড়া হিসেবে উল্লেখ করে।

র্যবের তদন্তে আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিন নামে কোন তথ্য নির্বাচন কমিশনে পায়নি। পরে শাহিন মাদকের একটি মামলায় জেলে ছিল। জেলখানায় নথি থেকে আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিন নাম ও ছবি পাওয়া গেলে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। সংবাদ সম্মেলনের র্যাব কর্মকর্তাসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
 

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image