• ঢাকা
  • শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

৮ দালালের নিয়ন্ত্রণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহাসড়ক


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০২:৫৯ পিএম
দালালের নিয়ন্ত্রণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহাসড়ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহাসড়ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :  ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড ও বিশ্বরোড থেকে মাধবপুর পর্যন্ত ব্যস্ততম অংশটি ব্যাটারিচালিত রিক্সা, সিএনজি, অটোরিকসার দখলে। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনাসহ প্রানহানির ঘটনা। বিশ্বরোডের মোড়ে এসব নিষিদ্ধ যানবাহনের ভিড়ে প্রায় সময় দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে দূরপাল্লার যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নছিমন, করিমন, সিএনজি, ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক বিভাটেক  চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও এসব নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশের কোন সক্রিয় ভূমিকা না থাকায় মহাসড়কে এসব অবৈধ যানবাহন বেপরোয়া চলাচল করছে। দূরপাল্লার বাস- ট্রাক চালক ও তাদের সহকারীদের দাবি- মহাসড়ক অবৈধ যানের কবল থেকে মুক্ত না হলে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হতে পারে।

জানা গেছে, মহাসড়কে নিষিদ্ধ ঘোষিত নছিমন, করিমন, সিএনজি, ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইকের চালকরা আশুগঞ্জ, সরাইল, বিজয়নগরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে লিংক রোড দিয়ে সরাসরি  মহাসড়কে উঠে নিয়মের তোয়াক্কা না করে উল্টো দিকে চলে আসে। ফলে অনেক সময় মহাসড়কে চলাচলকারী দ্রুতগামী যানবাহনের সাথে সংঘর্ষে প্রানহানি ঘটে থাকে। দিন দিন এ মহাসড়কে বেড়েই চলেছে সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ তিন চাকার যানবাহনের দৌরাত্ম্য।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আশুগঞ্জ থেকে মাধবপুর পর্যন্ত ৮ দালালের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এ মহাসড়কটি। এই ৮ জনের সাথেই সমঝোতা করে সিএনজি অটোরিক্সাসহ অন্যান্য তিন চাকার যানের চালকরা বীরদর্পে মহাসড়ক দাবিয়ে বেড়ায়।

পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে যেসব দুর্ঘটনা ঘটে তার অধিকাংশই তিন চাকার যানবাহনের কারণে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিন চাকার যানবাহনের যাত্রীরাই হতাহত হন দুর্ঘটনাগুলোতে। এসব দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিলে নিত্যদিন যুক্ত হচ্ছে নতুন মুখ। আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অনেকেই। তবে মহাসড়কে তিন চাকার এ যান চলাচল বন্ধ হলে দুর্ঘটনার হার ৯০ ভাগ কমে আসবে বলে দাবি বাস চালকদের।

বাসচালক আরজু মিয়া বলেন, দেশের অন্য কোনো মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলে না। অথচ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবাধে চলছে তিন চাকার যানবাহন। চললে সব জায়গায় চলুক নয়তো এসব বন্ধ করে দেয়া হোক বলে দাবি জানান এ চালক।

তবে আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোডে চলাচলকারী শাকিল মিয়া নামে এক সিএনজি চালিত  অটোরিকশার চালক বলেন, আমাদেরও তো পরিবার আছে। গাড়ি না চালালে পরিবার নিয়ে চলবো কিভাবে? জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশের লাথি-গুতা খেয়েই তো গাড়ি চালাই। গাড়ি ধরলে টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনি।

এ ব্যাপারে হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সুখেন্দু বসু জানান, মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের ফলে সকল প্রকার অবৈধ যানবাহন মহাসড়কে চলতে না পারে তার জন্য আমরা জিরো টলারেন্স অবস্থায় আছি। জনবল সংকট থাকার কারণে তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। মাসোহারা আদায় করা হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- যদি কোন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image