আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিতর্কে বিপর্যয়কর প্রদর্শনীর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবার সমর্থকদের আস্থা ফেরাতে লড়ছেন। কিন্তু তাঁর প্রার্থী থাকা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে, সেটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও তীব্র হচ্ছে।
সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
তিনি এ অবস্থায় ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ঐতিহাসিক ক্যাম্পে ডেভিডে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে যাচ্ছেন। সেখানে কয়েকটি সভায় ডেমোক্র্যাট ভোটার, নেতাকর্মী ও অর্থদাতাদের মধ্যে সৃষ্ট আতঙ্ক দূর করাতেই থাকবে তাঁর চেষ্টা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নির্বাচনী বিতর্কে অংশ নেওয়ার পর জো বাইডেনের বয়স নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে; পাশাপাশি তিনি আরও চার বছর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কিনা, সে প্রশ্নও জোরালো হয়েছে। ওই বিতর্কে ট্রাম্প একের পর এক মিথ্যা বলতে থাকলেও বাইডেন তাকে যথাযত জবাব দিতে পারেননি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে তিক্ততম ওই বিতর্ক এক সময় কুতর্কে রূপ নেয়। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই নেতাই একে অপরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন। পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ট্রাম্পকে খোঁচা দেন বাইডেন। অপরদিকে বাইডেনকে ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে চলমান মামলা নিয়ে আক্রমণ করেন ট্রাম্প।
মার্কিন গণমাধ্যমটি লিখেছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র চারমাস আগে এ টেলিভিশন বিতর্কে ব্যর্থতা কার্যত তরুণ কোনো ডেমোক্র্যাটের কাছে এ প্রার্থিতা হস্তান্তরের দাবিকে জোরালো করেছে। এ অবস্থায় নিজ দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কয়েকজন নেতা বাইডেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
ওই বিতর্ককে কেন্দ্র করে যে বিতর্কের জন্ম হয়েছে, তারমধ্যে গত শুক্রবার এক নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নেন বাইডেন। সেখানে তিনি ভোটারতের উজ্জীবিত করেন এবং লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, ‘কেবল একটি বিতর্ককে কেন্দ্র করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। দেখতে হবে মানুষের জীবনের ওপর এর প্রভাব কেমন পড়বে। জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প) মধ্যে ব্যবদান স্পষ্ট।’
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: