বখতিয়ার রহমান, পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জোতদিলাল গ্রামের অভ্যন্তরে চলচলের একটি রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন জনৈক শহিদুল ইসলাম। এতে ১৩ টি পরিবারের চলাচল, কৃষিপন্য পরিবহন সহ স্বাভাবিক জীবন যাপনে মারাত্বক বিঘ্ন ঘটেছে। পরিবার গুলোর জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ ।
অভিযোগে জানা গেছে, ভেন্ডাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী জোদদিলাল গ্রামের মৃত আব্দুল হকের পুত্র আব্দুল ওয়াকিল মিয়া সহ ১৩ টি পরিবারের চলাচলের জন্য ২০১৯ সালে একই গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের পুত্র দিলশাদ মিয়ার কাছ থেকে ২ শতক জমি ক্রয় করে রাস্তা নির্মাণ করেন। সে সময়ে ৪ ফুট গভীর ও ৭৫ ফুট দৈঘ্য রাস্তাটি নির্মাণে পরিবার গুলো প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করেন । ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৩ বছর থেকে ব্যবহৃত রাস্তাটি গত নভেম্বর মাসে হঠাৎ করে একই গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে রাস্তার মাঝখানে খুঁটি বসিয়ে মাটি সরিয়ে গর্ত তৈরী করে পুরো রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
এ সময় পরিবার গুলো ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের স্মরনাপন্ন হলে তারা জানান, জমি বিক্রেতা দিলশাদ এর ভাই এরশাদ ওই জমির উপর টাকা দাখিল করায় কোর্টের নির্দেশনায় এরশাদকে জমি ফেরতের রায় প্রদান করা হয়েছে। এজন্য নিরুপায় হয়ে কোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে এ আদেশের বিরুদ্ধে পরিবারগুলোর পক্ষে আপিল করায় বিজ্ঞ আদালত এরশাদের পক্ষে একতরফা রায় স্থগিত করেন।
আদালতের আদেশের কপি ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জমা দেয়া হয় এবং রাস্তা খুলে দেয়ার আবেদন জানানো হয়। অথচ অদ্যবধি ওই রাস্তাটি খুলে না দিয়ে শহিদুল গংরা ১৩ পরিবারের লোকজনকে হুমকি ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে করে পরিবার গুলোর চলাচল সহ পণ্য পরিবহনে দিনের পর দিন আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে জোদদিলাল গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মান্নাফ মিয়া বলেন, নিবার্চনে হেরে যাওয়ার প্রতিশোধ নিতেই শহীদুল আমাদের ভোগান্তিতে ফেলেছে। শহিদুল ইসলাম এ ব্যাপাওে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এটি চলাচলের রাস্তা ছিল না, জোরপুবর্ক পরিবার গুলো এই পথে চলাফেরা করতো।
পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, বিষয় জেনেছি দ্রত সড়কের প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে দিতে ভেন্ডাবাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আসাদুজ্জামানকে নিদের্শ দেয়া হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: