• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

১০ মিনিটেই ভিসা তৈরি করে সহজেই ২৬ দেশ ভ্রমণ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ০৩ জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৩৩ এএম
সহজেই ২৬ দেশ ভ্রমণ
প্রতারক চক্র

নিউজ ডেস্ক : প্রতারক সিন্ডিকেট ঘরে বসেই মাত্র ১০ মিনিটে ভুয়া ভিসা তৈরি করছে। এক ভিসায় ২৬ দেশ ভ্রমণ। এজন্য আগ্রহটাও বেশি। সেনজেন ভিসায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সাত সদস্যকে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দারা বলছেন, এটি একটি আন্তর্জাতিক প্রতারকচক্র। বিদেশেও রয়েছে তাদের সদস্য।

যে ভিসা পেতে মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছর অপেক্ষা করেও নিরাশ হতে হয় সেই ভিসাই তৈরি হয়ে যাচ্ছে মাত্র ১০ মিনিটে। নেই ভিসা প্রদানকারী দেশের কোনো অনুমোদন। ফটোশপ আর কিছু সফটওয়ারের মাধ্যমে অসাধুচক্র তৈরি করছে সেনজেন ভিসা।

পুলিশি অভিযানে ভিসা তৈরির সময় হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয় লিটন মাহমুদকে। তার দেয়া তথ্যে পরে গ্রেফতার করা হয় আরও ৬ জনকে। বেরিয়ে আসে ভুয়া ভিসা তৈরি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রটির আদ্যোপান্ত।

চক্রটির অন্যতম সদস্য জুয়েল প্রধান। সেনজেন ভিসায় বিদেশ যেতে আগ্রহীদের জোগাড় করার দায়িত্ব তার। পাসপোর্টে ভিসার স্টিকার বসানোর কাজ করেন আরিফ হোসেন। এয়ার টিকেট ম্যানেজ করেন মুকসেদ ওরফে রাজ। আর টার্গেট দেশে যাওয়ার পর সেখানকার ইমিগ্রেশন পার করার দায়িত্ব পালন করে ভারতীয় এক দালাল।

জুয়েল বলেন, ইতালি যাওয়ার জন্য ১৫ লাখ টাকা চুক্তি করি। ভিসা করার জন্য আরিফকে ২০ হাজার টাকা দেই। তারপর টিকিট কাটি ৩ লাখ ৪ হাজার টাকা দিয়ে। বিমানবন্দরেও আমাদের চুক্তি থাকে।  

পুলিশ বলছে, ১৫ লাখ টাকার চুক্তিতে ভুয়া ভিসা তৈরি করে দেয় চক্রটি। এই টাকার ভাগ যায় চার থেকে পাঁচ জায়গায়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, এনএসআই এবং বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় একটি চক্রকে ধরতে পেরেছি। তারা বাসায় কম্পিউটারে ফটোশপে কাজ করে সর্বোচ্চ ২০ টাকা খরচ করে সেনজেন ভিসা তৈরি করে ৫০০ টাকায় বিক্রি করে দেন ২/৪ জন দালালের কাছে। সেই দালালরা বিভিন্ন শহর-উপশহরসহ মফস্বল থেকে মক্কেলকে ধরেন। তারপর তাদের পাসপোর্টে ওই ভিসার স্টিকার লাগিয়ে দেয়া হয়। এ রকম কাজে বেশিরভাগ সময়ই তারা ব্যর্থ হন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সফল হয়েছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখবো।

আরও বলেন তিনি, এসব ভিসা একেবারে ঘরোয়াভাবে তৈরি। কোনো দূতাবাস বা দেশ থেকে এসব ভিসার কোনো স্বীকৃতি নেই। সুতরাং এগুলো সম্পূর্ণ ভুয়া।    

চক্রটির সঙ্গে সিভিল এভিয়েশনের কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image