শোক দিবস বাতিল করা হয় নি, ছুটি বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু ,বত্রিশ নম্বরের চারিদিকে তারকাঁটার ব্যারিকেড দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল প্রতিরোধ।
তার সাথে ছিল ন্যাক্কারজনক অবমাননা, নোংরামি , দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা, বিবস্ত্র করা,কানে ধরে উঠ বস করানো- কি করে নি ওরা?
গত পরশু থেকে রাস্তায় তারকাঁটার ব্যারিকেড উঠে গেছে।কিন্তু,পাহারাদার আছে চারিদিকে। ফুল কেড়ে নিয়ে যায়,মোবাইল কেড়ে নিয়ে যায়,ছবি ডিলিট করে।
এ কেমন নোংরামি ,এ কেমন স্বেচ্ছাচারিতা ? এরই নাম বাক স্বাধীনতা? এটাই কি মত প্রকাশের স্বাধীনতা?
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী সরকার প্রধানেরও কি এ ব্যাপারে অনুমোদন আছে? না থাকলে গত দুই সপ্তাহে তিনি এ ব্যাপারে একটি কথাও বললেন না কেন?
শ্রদ্ধা প্রকাশের একমাত্র প্রতীক কি ফুল? আমাদের হৃদয়ের শ্রদ্ধা, নীরবে দাঁড়িয়ে থাকা-সেটা বন্ধ করবে কি ভাবে? আজ সকালেই তো আমরা সে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসলাম।
ওরা কি এসব করে বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে পারবে? কোটি কোটি মানুষের হৃদয় থেকে মুছে দিতে পারবে?
হে তারুণ্য , তোমরা বঙ্গবন্ধুকে জানো। গভীর ভাবে জানো।আর কিছু না হলে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটা পড়।জানবে কত বছর কষ্ট করে, কত কিছু আয়োজন করে, কত জেল-জুলুম সহ্য করে এই মুক্তি সংগ্রাম গড়ে তুলেছেন।তিনি শুধু রাজনীতিক ছিলেন না, তিনি এ জাতির স্থপতি , জাতির জনক।
তোমরা হয়তো আজকালের রাজনীতিবিদদের দেখে তাঁদের সাথে বঙ্গবন্ধুকে তুলনা কর। এটা সম্পুর্ণ ভুল।ওনাকে মাপার মাপকাঠি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
তাঁর জীবনী না পড়লে সেটা বুঝতে পারবে না। তাঁর জীবনটা নিবেদিত ছিল বাঙালি জাতির জন্য।
তোমরা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষনটাও আরেকবার শুনো। তাহলে বুঝবে কেন ইউনেস্কো এই ভাষনকে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষন হিসাবে আখ্যা দিয়েছে।
তোমরা দেয়ালে লিখেছ- 'আমরা আনিব রাঙা প্রভাত'।সেই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে বুঝতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি অশ্রদ্ধা শুধু ওনাকে খাটো করে না, পুরো দেশকে ছোট করে, জাতিকে অকৃতজ্ঞ করে।
উনি শুধু কোন দলের নেতা নন, উনি আমাদের জাতির নেতা। উনি আছেন আমাদের সকলের হৃদয়ে।
আমি কখনও ছাত্রলীগ করি নি, কখনও আওয়ামী লীগ করিনি। আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি।বঙ্গবন্ধুর সাথে কাজ করেছি, খুব কাছ থেকে দেখেছি।
তিনি চিরঞ্জীব!
জয় বাংলা !!!
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: