নিউজ ডেস্ক : দেশ স্বাধীনের দুইদিন পর স্বাধীন হয়েছিল নীলফামারীর সৈয়দপুর। সৈয়দপুর হানাদারমুক্ত দিবস ১৮ ডিসেম্বর। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হলেও সৈয়দপুর পাকিস্তানি হানাদারদের কবল থেকে মুক্ত হয় ১৮ ডিসেম্বর।
মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সৈয়দপুরের চিত্র অন্য জনপদ থেকে আলাদা ছিল। এ অঞ্চলে অবাঙালি বেশি থাকায় ভাষাগত পার্থক্যর প্রভাবে বাঙালিদের ওপর বৈষম্য, শোষণ, নিপীড়ন ছিল অনেকটাই বেশি।
গোটা সৈয়দপুর শহর জল্লাদ খানায় রূপান্তর করেছিল পাকসেনা ও তাদের দোসররা। আর এই হত্যাকাণ্ড হতো খরচা খাতা অনুযায়ী, যেখানে লেখা হতো হত্যার হিসেব। সৈয়দপুরের হত্যাকাণ্ড চিহ্নিত এলাকাগুলোর মধ্যে গোলাহাট বধ্যভূমি, মুন্সিপাড়া বধ্যভূমি, ভাগার বধ্যভূমি,ও সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট উল্লেখযোগ্য।
ভারতের হিমকুমারী ক্যাম্প থেকে মিত্র বাহিনীসহ মুক্তিবাহিনী ও স্থানীয়রা প্রবেশ করলে অবশান ঘটে পাকবাহিনীর নির্মতার। সারাদেশে আত্মসমর্পণ করায় পাকসেনারা পিছু হটে এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ১৮ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর কাছে পরাজয় মেনে নেয়।
বিজয়ের খবরে গ্রাম থেকে হাজার মানুষ শহরে এসে আনন্দ মিছিল করে। তৎকালীন পৌরসভার আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ায়। দেশ স্বাধীনের দুইদিন পর স্বাধীন হয় সৈয়দপুর।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: