নিউজ ডেস্ক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে পুলিশের আইজিপি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের বক্তব্যকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ উক্তি, অপেশাদারি আচরণ, হুমকি ও অব্যাহত মিথ্যাচার হিসেবে অভিহিত করেছে বিএনপি।
তাদের ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি দলটি বলেছে, বিচারবর্হিভূত হত্যা ও গুমের অপরাধে অভিযুক্ত মার্কিন নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত পুলিশের আইজিপি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের এই ধরনের মন্তব্য শুধু শিষ্টাচার বিবর্জিতই নয় তা রাষ্ট্রের জন্য এবং গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই অবিলম্বে এই ধরনের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক সভায় এ আহ্বান জানানো হয়, যা বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংবাদ মাধ্যমকে অবহিত করা হয়।
সভায়, হঠাৎ করে ১৭ হাজার ২৮২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি মাসিক ভাতা বন্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে, একদিকে যখন দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন এই ধরনের পদক্ষেপ সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে ফেলবে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের অজুহাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ভারতীয় শিল্পীকে নিয়ে কনসার্টে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ দেশবাসীকে হতাশ করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বিমানের ঢাকা-টরেন্টো পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে কর্মকর্তাদের প্রমোদ ভ্রমণ অন্যদিকে টিসিবির ট্রাকের পেছনে অভাবী মানুষের দীর্ঘ লাইন, আওয়ামী স্বচ্ছল পরিবারদের ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয়ের কার্ড বিতরণ জনগণের সঙ্গে চরম প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়।
সভায় নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরে আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে জাতীয় সরকার গঠন ও বিদ্যমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয়।
গত ২৭ মার্চ পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিএনপি মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ ও চট্টগ্রামের নেতা-কর্মীদের চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে গিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে পুলিশের বাধার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
সভা মনে করে, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের পূর্ব ঘোষিত এই কর্ম সূচীতে বাধা দিয়ে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধের অসম্মান করেছে এবং সংবিধানে সম্মত মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যরিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: