নিউজ ডেস্ক: করোনাকালে দুই বছর বন্ধ থাকার পর গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ ঘাট ও বালাসি ঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অষ্টমীর স্নানোৎসবে অংশ নিয়েছেন লক্ষাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বী। হিন্দু পঞ্জিকামতে চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা পাপ মোচনের আশায় পবিত্র অষ্টমী স্নানে অংশ নেন।
ভক্তদের বিশ্বাস, এ সময় ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান খুবই পুণ্যের, এ স্নানে ব্রহ্মার সন্তুষ্টি লাভ করে পাপমোচন হয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস, চৈত্রের অষ্টমীতে জগতের সব পবিত্র স্থানের পুণ্য ব্রহ্মপুত্রে মিলিত হয়। নদীর পানি স্পর্শমাত্রই সবার পাপ মোচন হয়। যে এই পবিত্র পানিতে স্নান করে সে চির মোক্ষ লাভ করে।
শুক্রবার রাত ৯টা ১১ মিনিটে পুণ্যস্নানের লগ্ন শুরু হয়ে শেষ হবে শনিবার রাত ১১টা ৮ মিনিটে। পবিত্র মন্ত্রোচ্চারণের পর স্নানের সময় ফুল, বেলপাতা, ধান, দূর্বা, হরিতকি, ডাব, আম পাতা ইত্যাদি পিতৃকুলের উদ্দেশ্যে নদের জলে অর্পণ করছেন ।
অষ্টমী স্নানে অংশ নিতে আসা সাবিত্রী সাহা বলেন, এই দিনে নদীতে স্নান করলে ভগবান সব পাপ থেকে মুক্ত করে দেন। তাই পাপমুক্তির আশায় প্রতি বছর এখানে আসি। পুরোহিত রতন চক্রবর্ত্তী বলেন, দেশ ও জাতি যেন মহাদুরে্যাগ করোনা থেকে মুক্তি লাভ করে এবং ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে আমরা সবাই যেন জাতির কল্যাণে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে পারি এই কামনাই করেছি সৃষ্টিকর্তার কাছে।
অষ্টমী স্নান উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় লোকজ পণ্য, শিশুদের খেলাধুলার জিনিসপত্র ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর পসরা সাজিয়েছে দোকানিরা, বসেছে মাছের বাজার।
এবার স্নানে অংশ নিতে আসা পুণ্যার্থীদের জন্য স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
ফুলছড়ির গজারিয়া ইউনিয়নের চালুয়াবাড়ি তহশিল অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো: জিয়াউর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে যাতে মেলা অনুষ্ঠিত হয় এবং অন্য কোন লোকজন যাতে চাঁদা না তুলতে পারে সে বিষয়ে সজাগ রয়েছি।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: