শাহজাদপুর প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ: বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা নেছা মুজিব রেণু’র ৯২ জন্মদিন উপলক্ষে যুব রাজনীতিতে বিশেষ অবদান রাখায় বঙ্গমাতা পরিষদের পক্ষে থেকে পুরস্কৃত করলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশের বৃহত্তর ফুটবল ক্লাব শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের স্থায়ী সদস্য এবং বোর্ডের পরিচালক ডক্টর সাজ্জাদ হায়দার লিটনকে। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার অন্তর্গত শাহজাদপুর উপজেলার ৩ নং পোতাজিয়া ইউনিয়নের পোতাজিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৭০ সালে ৬ মে জন্মগ্রহণ করেন।
তরুণ যুবনেতা ডক্টর সাজ্জাদ হায়দার লিটন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের প্রধান উপদেষ্টা ও আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং সেন্টার ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স স্টাডিস এর ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। রাজনৈতিকভাবে ঐহিত্যবাহী পরিবারের সন্তান আপাদমস্তক এই রাজনীতিবিদের বাবা বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মতিন মোহন। আব্দুল মতিন মোহন ছিলেন একটানা ২৭ বছর ইউপি চেয়ারম্যান, দুই দুই বারের শাহজাদপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মিল্ক ভিটার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি থাকা অবস্থায় আব্দুল মতিন মোহন মৃত্যু বরণ করেন।
আব্দুল মতিন মোহন ছিলেন গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের নেতা হিসেবে ছিলেন ব্যাপক পরিচিত। দুঃখী মানুষেরা ডাকতেন গরিবের বন্ধু আব্দুল মতিন মোহন চেয়ারম্যান বলে। তিনি ৩ তিন মেয়ে ও তিন ছেলে সন্তান রেখে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। ছোট ছেলে রাশেদুল হায়দার শাহজাদপুর আওয়ামী যুবলীগের দ্বিতীয় যুগ্ম আহবায়ক। বড় ছেলে ডক্টর সাজ্জাদ হায়দার লিটন যার সবকিছুতেই বাবার আদর্শ্যইে ছোট থেকে গড়ে উঠেছে। সত্যিকার অর্থেই ডক্টর সাজ্জাদ হায়দার লিটন অন্যায়ের কাছে কোন দিন মাথা নত করেনি। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে কখনোই দিধা করেননি। আওয়ামীলীগ যখন বিরোধী দলে ছিলেন তখন বারবার জামায়াত ও বিএনপি’র হাতে রাজপথে নির্যাতিত হয়েছেন। ওয়ান - ইলেভেনের সময় শেখ হাসিনার কারামুক্তি আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।
ডক্টর সাজ্জাদ হায়দার লিটন শান্তি পরিষদেরও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং রাশিয়া-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সেক্রেটারি ও ভারত - বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সুনাম অর্জন করেছে। তিনি দেশে বিদেশে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে ব্যাপক কাজ করেন। সে কারনে তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংঙ্গনে অত্যন্ত পরিচিত মূখ। ইতিমধ্যেই তার রাজনৈতিক কার্মকান্ডের দক্ষতা, বৃদ্ধি মত্তা, সততা ন্যায় পরায়ন, পরোপকারী আচরণে তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারন জনগণের পাশাপাশি দলের নীতি-নির্ধারকের কাছে আস্থা ভাজন গুরুত্ব পেয়েছে। শাহজাদপুর উপজেলায় ডক্টর সাজ্জাদ হায়দার লিটন কে মানুষ মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে চেনেন। দীর্ঘ ৩৪ বছর রাজনীতির ক্যারিয়ারে কোন দুনীতির আচর পরেনি। গত ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে সিরাজগঞ্জ -৬ শাহজাদপুর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর থেকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে ডক্টর সাজ্জাদ হায়দার লিটন। গ্রাম মহল্লায়, হাটবাজারে, চাঁয়ের দোকানে, দলীয় নেতাকর্মী, সাধারন জনগণের মাঝে উপ-নির্বাচনের আমেজ চলে আসে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তরুণ সমাজসেবক, কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে আলোচনায় শীর্ষ ছিল ডক্টর সাজ্জাদ হায়দার লিটন। শাহজাদপুর আসনে অত্যান্ত যোগ্য ও শক্তিশালী প্রার্থী ছিলেন। তিনি ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসাবে জনগণের মাঝে ব্যাপক সারা পড়ে। ডক্টর সাজ্জাদ হায়দার লিটনকে নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম শ্রীণির প্রায় সব জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। এরকম একজন যোগ্য নেতাকে বঙ্গমাতা পরিষদের পক্ষে থেকে পুরস্কৃত করায় শাহজাদপুর উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল।
ঢাকানিউজ২৪.কম / মাসুদ মোশাররফ/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: