শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের শ্রীবরদীতে পারিবারিক কোন্দলের জের ধরে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্ত্রী, শাশুড়িসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাত নয়টার দিকে উপজেলার খোশালপুর পুটল গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহতেরা হলেন- উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর পুটল গ্রামের মনু মিয়ার মেয়ে মনিরা বেগম (৩৫), স্ত্রী শেফালী বেগম (৬০) ও মনু মিয়ার বড় ভাই হাজী মো. মাহমুদ (৭০)।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মিন্টু মিয়া (৪০) পলাতক রয়েছেন। তিনি উপজেলার গেড়ামারা গ্রামের হাইমউদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনায় আরো তিনজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- উপজেলার খোশালপুর পুটল গ্রামের মনু মিয়া (৬০), মনু মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন (২৫) ও হাজী মো. মাহমুদের স্ত্রী ফুল সাহারা বেগম (৬৫)। আহত সবাইকে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৭ বছর আগে শ্রীবরদী উপজেলার খোশালপুর পুটল গ্রামের মনু মিয়ার মেয়ে মনিরা বেগমের সঙ্গে গেড়ামারা গ্রামের হাইমউদ্দিনের ছেলে মিন্টু মিয়ার বিয়ে হয়। বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী মিন্টু মিয়ার সঙ্গে স্ত্রী মনিরা বেগমের পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। কয়েক দিন আগে মনিরা রাগ করে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবা মনু মিয়ার বাড়িতে চলে আসেন। এরপর স্ত্রী মনিরাকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেও মিন্টু মিয়া ব্যর্থ হন।জ
এর জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে মিন্টু মিয়া বোরকা পড়ে শ্বশুর বাড়িতে যান। শ্বশুর বাড়িতে গিয়েই মিন্টু তার হাতে থাকা দা দিয়ে স্ত্রী মনিরা, শাশুড়ি শেফালী বেগম ও জ্যেঠা শ্বশুর হাজী মো. মাহমুদসহ কয়েকজনকে এলোপাথারীভাবে কোপাতে থাকেন। এতে মিন্টুর স্ত্রী মনিরা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং অন্যরা গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শেফালী ও হাজী মো. মাহমুদকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে মিন্টু মিয়া দা দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রী, শাশুড়ি ও জ্যেঠা শ্বশুরকে হত্যা করেছেন। অভিযুক্ত মিন্টু মিয়াকে আটকের জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / জাহিদুল হক মনির/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: