পীরগঞ্জ প্রতিনিধি, রংপুর : রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের তীব্র লোড শেডিং চলছে । কোন কোন এলাকায় ২৪ ঘন্টায় গড়ে ৮ ঘন্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না। এক দিকে যেমন বিদ্যুত আসা যাওয়ারও নেই কোন নিদৃষ্ট সময় সীমা , তার পরেও ২/৩ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ এলেও কোন সময় ৩০ মিনিট স্থায়ী হয় না। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন সর্ব পর্যায়ের বিদ্যুত গ্রাহকরা।
উপজেলার বড়দরগাহ, কুমেদপুর, শানেরহাট, পাচগাছি সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিদ্যুত গ্রাহকদের অভিযোগে জানা গেছে, এ সব এলাকা গুলিতে বিদ্যতের ভয়াবহ লোড শেডিং চলছে । কি কারনে এ লোড শেডিং তা গ্রাহকদের অজানা । গ্রাহকগন গত ২মাস দিবারাত্রীর বেশীর ভাগ সময় বিদ্যুত ব্যবহারের সুবিদা থেকে বঞ্চিত থাকছেন ।
আর এ পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল সকল সকল ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলির স্বাভাবিক কাজ কর্মে নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এবং এ সব প্রতিষ্ঠানের মালিকগন চরম আর্থিক ক্ষতি সম্মুখিন হচ্ছে । সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ বাসা বাড়ী গুলির বিদ্যুত গ্রাহকগনও এ পরিস্থিতিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন । তাদের মতে পল্লী বিদ্যুত সমিতি কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অজুহাতে প্রতিনিয়ত এ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছেন এবং গ্রাহকদের সেবা প্রদানে তাদের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে ।
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর একটি সুত্র জানায় রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন সমিতির মুল কার্যালয় সহ পীরগঞ্জ সদর ও ভেন্ডাবাড়ীতে পৃথক সাব ষ্টেশন রয়েছে । মুল কার্যালয় সহ পৃথক সাব ষ্টেশন থেকে যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে তাতে দৈনন্দিন প্রায় ১০৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন । অথচ এর বিপরিদে বিদ্যুৎ মিলছে অনুর্ধ ৯০ মেগাওয়াট । চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বিদ্যুৎ প্রাপ্তির কারনে লোড শেডিং দিতে হচ্ছে ।
এ ব্যাপারে রংপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতিÑ১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী হরেন্দ্র নাথ বর্মন এর সঙ্গে সোমবার মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি অপ্রতুল বিদ্যুৎ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ তো পাচ্ছিই না, এর পরেও প্রতিকুল আবহাওয়া ও বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইনের নির্মান কাজ অব্যহত থাকার কারনেও লোড শেডিং দিতে হচ্ছে । তবে শ্রীঘ্রই এ সমস্যা কেটে যাবে ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / বখতিয়ার রহমান/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: